কলম্বো: রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার জ্বলে উঠল দ্বীপরাষ্ট্র। শ্রীলঙ্কার ফৌজের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বিক্রমসিঙ্ঘে শপথ নেওয়ার পরেই কড়া হাতে বিক্ষোভকারীদের দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বিক্ষোভকারীদের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করেছে লঙ্কা বাহিনী। যার প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কার রাজধানীর গলফেস অঞ্চলে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে কলম্বো ফোর্ট রেলওয়ে স্টেশনেও। বিক্ষোভকারীরা ভিড় জমিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের অফিসের বাইরে।
রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানকারীদের আপত্তি আগে থেকেই ছিল। সেই রনিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই আন্দোলন ফের তীব্র হয়েছে। পুলিস ও নিরাপত্তাকর্মীরা আন্দোলন দমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, মধ্যরাত নাগাদ শয়ে শয়ে পুলিস ও সেনাবাহিনী ট্রাকে ও বাসে করে সেখানে আসে। নেমেই তারা আন্দোলনকারীদের শিবিরগুলি ভাঙতে শুরু করে। প্রতিবাদী পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেয়। সেই সময় কর্তব্যরত ২ সাংবাদিককে তারা রাস্তায় ফেলে মারে। একইভাবে ২ আইনজীবীকেও বিনা প্ররোচনায় মারধর করা হয় বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার বার অ্যাসোসিয়েশন। ওই ২ আইনজীবী তাদের মক্কেল আন্দোলনকারীদের ডাকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সাধারণ নাগরিকের উপর এরকম অযৌক্তিক ও বিনা প্ররোচনায় হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার তাঁরা দেশব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে গত ১০৪ দিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই রাজাপক্ষের অনুগত বিক্রমসিঙ্ঘে দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর যে কঠোর মনোভাব তা গত ১০৪ দিনের আন্দোলনকেই যেন আরও উসকে দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।