Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চতুর্থ স্তম্ভ: আরএসএস–বিজেপির চোখে সংখ্যালঘু মানুষজন
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By:
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২, ১০:৪৫:১৫ পিএম
  • / ৮১২ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By:

আমার এক বন্ধু ক’দিন আগেই আমাকে একটা হোয়াটস আপ মেসেজ পাঠাল৷ আজকাল যাকে মেমে বলা হয়, সেরকম। তা ছিল, মুসলমান মানুষজনদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে এক কুৎসিত জোক, অত্যন্ত নিম্নরুচির। মেসেজের তলায় সে লিখেছে, এসব কী হচ্ছে বল তো? আমি লিখলাম, সত্যি এ কোথায় চলেছি আমরা৷ আমার বন্ধু বলল, আমি তো আজকাল এসব ইগনোর করি, পাত্তাও দিই না। দেশজুড়ে আরএসএস – বিজেপির তলার সারির কর্মী সমর্থক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা, কর্মীরা, তাদের পিছনে জড়ো হওয়া বাবাজী, মাতাজীরা, বিভিন্ন ধর্ম সম্মেলনে, রাস্তার মোড়ে, আড্ডায়, আলোচনায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে এই কুৎসিত প্রচার চালিয়েই যাচ্ছে৷ তারা চায় বেশির ভাগ মানুষ, তাদের এই প্রচারের সমর্থনে আসুক৷ আর যারা বিরুদ্ধে, তারা ইগনোর করুক।

হ্যাঁ ইগনোর করুক, আপনি এই কুৎসিত প্রচারের জবাব দেবেন না৷ এই প্রচার যে মিথ্যে, ওই তথ্য যে মিথ্যে সেটা না বলে চুপ করে থাকুন৷ আপনার মৌনতাই চায় ওরা৷ দেশের শিক্ষিত লিবারাল, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ এসব যত ইগনোর করবে, ততই ওদের সুবিধে। এসব না করে মহম্মদ জুবেরের, এসব তথ্য কোথায় ভুল, কেন ভুল তা নিয়ে মাঠে নেমেছিল, আপাতত উনি জেলে। মূল মামলা হল, উনি কেন নূপুর শর্মার বক্তব্যকে ভাইরাল করে দিলেন৷ যিনি বললেন, তিনি পুলিশ পাহারায় বসে আছেন নিজের ঘরে, জুবেরের জেলের ভেতরে, মানে হয় ইগনোর করুন, চুপ করে থাকুন, নয় তো জেলে যান।

দেশজুড়ে এই প্রচার চলছে, পুরো মিথ্যে, আধখানা মিথ্যে, আর কয়েকটা সত্যি দিয়ে এক জোরাল ককটেলের নেশায় পাবলিক বুঁদ, তারা প্রতিদিন এই বিষ উগরোচ্ছে৷ হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, মোগল ইতিহাসে লক্ষ লক্ষ মন্দির ভাঙা হয়েছিল৷ কেন সেগুলো স্কুলে পড়ানো হবে না? কেন তাজমহল ভেঙে তেজোমহল তৈরি হবে না? সাভারকার গান্ধী সমান নেতা ছিলেন, মুসলমানদের জন্য তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান, হিন্দুদের জন্য হিন্দুস্থান৷ জহরলাল নেহরু মুসলমান ছিলেন, উনি আর জিন্না সৎ ভাই, ইন্দিরা গান্ধী মুসলমান বিয়ে করেছিলেন৷ এরকম হাজার হাজার মিথ্যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ হোয়াটঅ্যাপ মেসেজ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, ফেসবুক টুইটারে ঘুরছে, তাই নাকি? তাই নাকি? এই প্রথম সত্যি জেনে বুঝতে পারছে মানুষ, হিন্দু খতরে মে হ্যায়, হর হর মহাদেব।

এটা তলায় চলছে। সেখানে আরএসএস – বিজেপির বড় নেতাদের দেখবেন না৷ তাদের এক-আধজন আবার সম্প্রীতির কথাও বলবেন, ভাইচারার কথাও বলবেন। ওপরের স্তরে খেলাটা আলাদা। ২০১৪, ২০১৯ এ যথাক্রমে সাত এবং ছয় জন মুসলমান প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি৷ হারবে জেনেই, সব্বাই হেরেছে, কাজেই দেশের ১৬ এবং ১৭ তম লোকসভায় শাসক দলে একজনও মুসলমান ছিলেন না৷ রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদদের, তিনজন ছিলেন মুসলমান, মুক্তার আব্বাস নকভি, এমজে আকবর, সৈয়দ জাফর ইসলাম৷ তিনজনেরই মেয়াদ ফুরিয়েছে৷ একজনকেও আবার রাজ্যসভায় ফেরত পাঠানো হয়নি৷ আপাতত শাসকদলের সাংসদের একজনও মুসলমান নয়, দেশের প্রতি সাত জনের ১ জন মুসলমান, এটা মাথায় রাখুন।

এরপর আসুন উত্তরপ্রদেশে ২০১৭, ২০২২ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি৷ জেতা ছেড়ে দিন, দু’বারই একজনও মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করায়নি মোদি – শাহ – যোগী। মাথায় রাখুন, উত্তরপ্রদেশে প্রতি ৫ জনের একজন হলেন মুসলমান। আসুন অসমে, সেখানে ২০১৬ আর ২০২১ মিলিয়ে ১৭ জন মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছিল৷ একজন মাত্র জিতেছিল৷ সেটাও ২০১৬ তে, ২০২১ এ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারে একজন মুসলমানও নেই৷ অসমে জনসংখ্যার প্রতি তিন জনের একজন হলেন মুসলমান। এই বাংলায়, বিজেপির একজনও মুসলমান বিধায়ক নেই, আমাদের রাজ্যেও প্রতি তিন জনের একজন মুসলমান। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী প্রধান? না একজনও মুসলমান নেই। ৭৬ জন মন্ত্রী আছে মোদিজীর, একজনও মুসলমান নেই৷ মোদি সরকারের অধীনে ৮৭ জন সচিব আছে৷ কি ভাগ্য তাদের দুজন মুসলমান।

মানে খুব পরিষ্কার৷ তলায় চাপে রাখবো, ভয়ে থাকবে মুসলমান সমাজ৷ আর ওপরে ক্ষমতার ভাগেদারি দেব না৷ দেশের ১৬% মানুষ ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে, কেন? কেন না তারা মুসলমান। ইজরায়েলে জায়নিস্ট সরকার ২০ % মুসলমান আরবকে দেশে রেখেছেন, তোমরা থাকো, ব্যবসাও করো, পড়াশুনো করো, বিয়ে শাদী করো, নমাজ পড়ো, ইদ হোক, হোক সবে বারাত, কিন্তু ক্ষমতার হিসসেদারি চেও না৷ তোমরা নাগরিক নও, প্রায় নাগরিক। আমাদের দেশেও সেই প্রায় নাগরিক বানানোর খেলাটাই চলছে, মোদি, যোগী, শাহ, আর এস এস – বিজেপির লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র, যেখানে সংখ্যালঘু মুসলমান ক্রিস্টানরা নাগরিক নয়, প্রায় নাগরিক।

এটা হয় নাকি? ইজরায়েল একটা পুলিস রাষ্ট্র, ভারতবর্ষে সেটা সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব যদি তথাকথিত হিন্দু মানুষজনকে সশস্ত্র করে তোলা যায়৷ সেটার জন্যেই কি অগ্নিবীর? এইজন্যই কি অগ্নিবীর চাকরির দরখাস্তে ধর্মের প্রমাণপত্র দিতে হচ্ছে? সেখানেই কি ঝাড়াই বাছাই হবে? জানি না। কিন্তু দেশের ২০% মানুষকে না নিয়ে কোনও গণতন্ত্র চলতে পারে না, সেটা তো জানিই। এর শুরুটা কোথায়? এই বিচ্ছিন্নতা কি আজকের? মাত্র গত ৭/৮/৯ বছরের ফসল? তা তো নয়, ইউ পি এ সরকারের সময়েই এসেছিল সাচার কমিটির রিপোর্ট, তাতে মুসলমান সমাজের এক দুর্ভাগ্যজনক ছবি বেরিয়ে এসেছিল, স্বাধীনতার পরে যাঁরা থেকে গেলেন এক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে, তারা থেকে গেলেন কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হয়ে, তাদের উন্নয়ন, ভাগেদারি, হিসসেদারির কথা ভাবা হল না, আজ আরও প্রতিক্রীয়াশীল শক্তি দেশের ক্ষমতায় বসেছে, তারা সেই ন্যূনতম ক্ষমতাটাও কেড়ে নিয়ে, সংখ্যালঘু মানুষদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখতে চায়৷ তারা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

এগিয়ে চলেছে আমরা জানি, বিজেপি আরএসএস যদি সফল হয়, তাহলে জিন্নার স্বপ্ন সাকার হবে, জিন্নাহ বলেছিলেন, ভারতবর্ষ হবে এক হিন্দু রাষ্ট্র, সাভারকরের স্বপ্ন সাকার হবে, কারণ জিন্নাহর সঙ্গে একস্বরে তিনিও বলেছিলেন, ভারত হবে এক হিন্দু রাষ্ট্র। গান্ধী, নেহরু, সুভাষ, প্যাটেল, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, অম্বেদকরের স্বপ্ন, এক ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্বপ্ন ভাঙবে, দেশের সেই সব মুসলমানেরা যারা জিন্নাহর কথা শুনেও পাকিস্তানে গেলেন না৷ এই দেশেই থেকে গেলেন, তাঁরা হঠাৎ নিজেদেরকে একলা মনে করবেন, মনে করবেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে, তাঁদের ঠকানো হয়েছে। তাহলে? ওই ১৫/১৬% মুসলমানের বা দেশের ২০% সংখ্যালঘু মানুষজনদের কী হবে? নূপুর শর্মার বিবৃতির পরে যে ভাবে বিভিন্ন মুসলমান দেশ প্রতিবাদে নামল এবং সেটা দেখে মোদি সরকার যেভাবে কুঁকড়ে গেল, তা দেখে মনে হয়েছিল, তাহলে বিশ্ব জনমতকে মাথায় রেখে দেশের সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানানো চেষ্টা মাঠে মারা যাবে৷

কিন্তু কদিন পরেই বোঝা গেল বিশ্বের ধনী বা গরিব মুসলমান দেশ চিন্তিত নবি বা কোরান নিয়ে, মুসলমানদের অবস্থা নিয়ে নয়৷ নবি আর কোরানকে আঘাত না করে বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলেও, তাদের কিসসু এসে যায় না, কাজেই ওটা পথ নয়। তাহলে মুসলমান জনসংখ্যার ভেতর থেকে প্রতিবাদ? কে করবেন? আসাউদ্দিন ওয়েইসি? বা ওই ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ? সাকুল্যে ২/৩ তে সাংসদ নিয়ে? তাহলে মুসলমান ছাত্র সংগঠন, র‍্যাডিকাল, জঙ্গি সংগঠনের চাপে পিছু হটবে মোদি সরকার? অসম্ভব, আরও বড় অত্যাচার নেমে আসবে, আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সংখ্যালঘু মানুষ।

একমাত্র উপায়, হিন্দু সমাজ থেকে উদার ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষজনকে এগিয়ে আসতে হবে৷ কেবল এগিয়ে এলেই হবে না, মুসলমান সমাজের, সংখ্যালঘু মানুষদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি বন্ধ করে, সত্যি উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ, বাসস্থানের, চাকরির, ভাগেদারির কথা বলতে হবে৷ একই সঙ্গে স্পষ্ট শব্দে যা অন্যায় সেটাও বলতে হবে, হিন্দু মুসলমানের গলা কাটলে সেটা সাম্প্রদায়িক, আর মুসলমান কাটলে হীরণ্ময় নীরবতা, চুপ করে থাকব, এ জিনিস চলতে পারে না৷ যখন তালাক নিয়ে কথা হবে, তখন বলতে হবে মুসলমান নারীদের অধিকারের কথা, সায়রা বানো মামলা নিয়ে সরকারের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হবে, মুসলমান জনসমাজ, সংখ্যালঘু মানুষজনকে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এক উদার গণতান্ত্রিক পরিবেশ এ আনার দায়িত্বও নিতে হবে, সহনাগরিক হিসেবেই এই দায় নিতে হবে।

আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল কংগ্রেসের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের ফলে, নেতাজী সুভাষ বসুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলে, ভগৎ সিং থেকে মাস্টারদা, ক্ষুদিরাম থেকে বিনয়, বাদল দীনেশের আত্মত্যাগে। তাঁরা প্রত্যেকেই এক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক দেশের কথা ভেবেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন অগণিত ভারতবাসীর সুখি, সমৃদ্ধ জীবনের। অন্যদিকে যারা সেদিন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে লড়েছিল, যারা ইংরেজদের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে, মুচলেকা দিয়ে এক মধ্যযুগীয় হিন্দুরাষ্ট্রের কথা ভেবেছিল, তারা আজ ক্ষমতায়, হ্যাঁ আমরা আর এক স্বাধীনতা আন্দোলনের দোরগোড়ায়, যে স্বাধীনতা আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি তাকে অক্ষুণ্ণ রাখার লড়াই লড়তে হবে, সে লড়াই এ সামিল করতে হবে দেশের প্রত্যেক অংশের মানুষ কে, দেশের ২০% সংখ্যালঘু মানুষের ভাগেদারি ছাড়া সেই লড়াই সম্ভব নয়।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
আগামিকাল মুর্শিদাবাদে সেলিমের পরীক্ষা, ১৩ মে বহরমপুরে অধীরের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
শাহের মুখে সন্দেশখালি আছে, নেই ভিডিও নিয়ে কোনও কথা
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
বেহাল সড়ক, প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি লাভ
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team