কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপেোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। সেইমতো এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সিল বন্ধ করা খামে রিপোর্ট জমা দেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মীকান্ত গুপ্ত জানান, তিনি কেবল লিখিত নোট জমা দিলেন। কোনও সওয়াল করবেন না। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানান, সব পক্ষ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য জানাতে পারবে। তারপরে আর কোনও লিখিত বক্তব্য জমা নেওয়া হবে না। বিচারপতি তালুকদার এবং বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত রাখা হল।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতো প্রাথমিকেও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশেই অপসারিত হতে হয় পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। ওই বেঞ্চ ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখা্স্তও করে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মানিক ভট্টাচার্যও অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান। সেই মামলারই শুনানি চলছিল এতদিন।
আরও পড়ুন: Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৮ শ্রমিক, মিলল একটি দেহ
ইতিমধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাঁর বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে ডেকে মানিককে নানা প্রশ্ন করেন। তাঁর সম্পত্তির হিসেব চান। সেই প্রসঙ্গও ওঠে আদালতে। মানিকের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, আদালত এভাবে সম্পত্তির হিসেব চাইতে পারে কি না। আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে পর্ষদ সভাপতিকে অপসারণ করতে পারে কি না। কিংবা এক কলমের খোঁচায় আদালত শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে কি না। এদিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেও শুনানি রয়েছে।