কলকাতা: বিজেপির পরিষদীয় দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য এদিন বিজেপি বিধায়কেরা হলুদ উত্তরীয় পরে এসেছিলেন। আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক এই উত্তরীয়কে পাঞ্জী বলা হয়। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানায় তৃণমূল।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি বিধায়কেরা পাঞ্জী পরে ভোট দিচ্ছেন। আবার তাঁদের পোলিং এজেন্টও সেটাই পরেছেন। নির্বাচনের লাইনে এ ভাবে দাঁড়ানো যায় না। এটা সংসদীয় রীতি নীতির পরিপন্থী। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, এতে কোনও বিধিবঙ্গ হয়নি। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন দিন আজ। কোনও আদিবাসী মহিলা এই প্রথম রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তাঁকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ সাজ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরেও তরজায় জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। কলকাতার মেয়র, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি করেন, ক্রস ভোটিং হবে। বিজেপির অনেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন। পাল্টা দেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর বক্তব্য, ওরা নিজেদের নিয়ে ভাবুক। আমরা দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দেব। তৃণমূলের অনেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে ইচ্ছুক বলে খবর পেয়েছি।
বেলা ১২টা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিতে আসেন। তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথাও বলেন তিনি। দুপুর ২টোর বিধানসভায় পৌঁছলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিতে আসেন সাড়ে তিনটে নাগাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ৩টে ৪০ মিনিটে ভোট দিয়ে বেরিয়েও যান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের ২৯৩ জন বিধায়কের মধ্যে ২৯১ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ত রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও অনুপস্থিত ছিলেন। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ও ভোট দিতে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভোট দিয়ে মুকুল বলেন, তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছি। সবাই জানে কী হবে। মমতার প্রার্থীই জিতবে।