কলকাতা : ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের র্যাঙ্কিং তালিকায় ধরাশায়ী বিশ্বভারতী। চূড়ান্ত অবনমন। এবার জরুরি বৈঠক ডাকল বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আজ দুপুর ৩ টে নাগাদ বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে উপাচার্যের জরুরী মিটিং। বৈঠকে ডাকা হয়েছে বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষদের। উপাচার্যের এই মিটিংয়ে বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে বিশ্বভারতী সুত্রে খবর। চলতি শিক্ষাবর্ষে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মেধা তালিকা ধরে রেখেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্থ বিশ্বভারতীর NIRF র্যাঙ্কিং এর মান তলানিতে।
শুক্রবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের তালিকা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখানে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় চতুর্থ স্থানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম স্থানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু নাম এবছরও নাম ছিল না বিশ্বভারতীর। ধারাবাহিক অবনমনের হাওয়ায় বিশ্বভারতী নুইয়ে পড়েছে৷ এনআইআরএফ বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক -এর সদ্য প্রকাশিত তালিকা বিশ্বভারতীর সেই ভয়াবহ পতনের ছবিই তুলে ধরেছে৷
২০১৬ সালে এনআইআরএফের তালিকায় বিশ্বভারতীর স্থান ছিল ১১তম। ২০১৭-তে দাঁড়ায় ৩১তম। ২০২১- এর তালিকায় দেখানো হয়েছিলো, এমনিতেই ৫০তম স্থানে থাকা বিশ্বভারতী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমতালিকায় আরও ১৪ ধাপ নেমে দখল করে ৬৪তম স্থান। আর এবছর তো সেই গ্রাফ আরও নিম্নমুখী৷ এবার এনআইআরএফের প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় খোদ নরেন্দ্র মোদি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার্য, সেই বিশ্বভারতী আরও ৩৪ ধাপ নেমে ৯৮-এ স্থান পেয়েছে। এই তথ্য লজ্জার এবং বেদনার। বিশ্বভারতীর সামগ্রিক মানের গ্রাফ এইভাবে নিম্নমুখী হয়েই চলায় চরম ক্ষুব্ধ প্রাক্তনী ও আশ্রমিকরা। তাঁরা নিশানা করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং কর্তৃপক্ষকেই৷ তাই আজ দুপুরে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন উপাচার্য।
অন্যদিকে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফাইনাল সেমিষ্টারের পরীক্ষার দাবিতে উপাচার্যের দফতরের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র – ছাত্রীরা। বিক্ষোভের জেরে উপাচার্যের সেণ্ট্রাল অফিস তালা বন্ধ করে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। যাতে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা ঢুকতে না পারে। উপাচার্যের ঘরের মূল গেটে তালা দেওয়ায় পড়ুয়ারা নিরাপত্তার বেষ্টনী টোপকে ঢুকে পরে উপাচার্যের ঘরে।