কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: একমাসের লাদাখ সফরে লেহ্’তে পৌঁছলেন চতুর্দশ দলাই লামা, তেনজিন গ্যাস্তো। ভারতের ধর্মশালায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনাও দানা বেঁধেছে। বিশেষত লেহ্’তে পা রাখার আগেই চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এবং চীনের আগ্রাসননীতি তাঁর মন্তব্য সেই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। শুক্রবার তাঁর লাদাখে আসাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা লেহ্’তে। স্থানীয়দের রীতি অনুযায়ী রংবেরংয়ের পতাকার মুড়ে দেওয়া হয় আকাশ। এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকা সত্ত্বেও শয়ে শয়ে মানুষ বিমানবন্দর থেকে দলাই লামার গোটা যাত্রাপথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে তিব্বতি পোশাকে নাচগানের আয়োজন ছিল। গাড়ির মাথায় তিব্বতি বাজনা বাজাতে বাজাতে যেতে থাকে তাঁর কনভয়। মানুষের ভিড়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে দলাই লামার গাড়ি। সেখান থেকে ভক্তদের দিকে হাত নাড়িয়ে আশীর্বাদ করেন। একবারের জন্য একটি গাড়ির মাথায় উঠে সকলকে শুভেচ্ছাও জানান।
আরও পড়ুন: NIRF Ranking 2022: দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় চতুর্থ যাদবপুর, অষ্টম কলকাতা
২০১৯ সালের পর এই প্রথম লাদাখে গেলেন দলাই লামা। কিছুদিন যাবৎ পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীনের সম্পর্ক একটু খারাপ হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে ভারতীয় সেনার স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই দলাই লামার সফর বেজিংকে খানিকটা চাপে রাখবে। এর আগে জম্মুতে এসেই দলাই লামা বলেছিলেন, তিনি তিব্বতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি করছেন না। কিন্তু, তিব্বতি বৌদ্ধদের সংস্কৃতিকে রক্ষার দাবি তুলেছেন। চীনের অনুশাসনে থেকেই পূর্ণাঙ্গ স্বশাসনের কথা জানান দলাই লামা।
দলাই লামা বলেন, চীনা জনগণ নয়, কিছু কট্টরপন্থী নেতা আমাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করেন। তিনি বলেন, এখন চীনারা বুঝতে পারছেন, দলাই লামা স্বাধীনতার দাবি করেননি। কিন্তু স্বশাসন চেয়েছেন। সম্প্রতি, দলাই লামার ৮৭-তম জন্মদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানানোর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় চীন। তারা তিব্বত নিয়ে ভারতের নাক গলানোর কড়া সমালোচনা করে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর এই সফরকে খুব ভালো চোখে দেখছে না লাল ফৌজ। কারণ, দলাই লামা চীনকে ঠেস মেরে এও বলেছেন যে, গায়ের জোরে দখল করার নীতি বাতিল হয়ে গিয়েছে।