কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিআইকে ওই রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান, তাঁরা কী করছেন। আইনজীবী বলেন, আমরা একক বেঞ্চের নির্দেশে সিট গঠন করেছিষ আদালতের নদরদারিতে তদন্ত করছি। এর পরেই বিচারপতি বলেন, আপনারা মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট দিনস কতটা কী করেছেন। শুক্রবার ফের মামলার শুনানি রয়েছে।
এর আগে শুনানি পর্বে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, একক বেঞ্চ পর্ষদকে যে সব নথি পেশ করতে বলেছিল, তার সবটা জমা দেওয়া যায়নি। এই কারণে কি সভাপতিকে অপসারণ করা যায়? আইনবিরুদ্ধ ভাবে সেই সব নথি ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। পর্ষদ কিছু অনিয়ম করতে পারে। কিন্তু তার মানে কি বেআইনি কাজ হয়েছে? আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলের, তাঁর স্ত্রীর, এমনকী বিবাহিত মেয়েরও সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়েছে। ভগবানকে ধন্যবাদ, মক্কেলের মৃত শ্বশুরের সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়নি।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গেল। পর্ষদ সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমন বিচার আদালতে কতটা গ্রহণযোগ্য। তাঁর প্রশ্ন, চার বছর পরে কেন মামলা করা হল। মামলাকারীর মামলা করার অধিকার রয়েছে কি না, তা খতিয়ে না দেখেই একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে। ওই শিক্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, ২৭৩ জনের নিয়োগ তালিকায় ভুল ছিল। তিনি জানান, এর বাইরে কোনও অনিয়ম হয়নি। এখানে ফৌজদারি অপরাধ কোথায়। এজি বলেন, পর্ষদ সভাপতিকে সরাতে পারেন পর্ষদের সদস্যরা। কোন অপরাধে সভাপতিকে সরানো হল, তা স্পষ্ট নয়।