খড়্গপুর: ২৭ জুন রাতে নাগাদ দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় খড়্গপুরের পুরপ্রধানের ঘনিষ্ঠ ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদের। তাঁর মৃত্যুর ন’দিনের মাথায় বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, প্রসাদকে শুধু ব্যবহার করেছে তৃণমূল। মৃত্যুর পর পরিবারের কোনও খোঁজখবর নেয়নি দল। মূল অভিযোগ পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে।
শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ঠিক উল্টো দিকেই বাড়ি প্রসাদের। অভিযোগ, ঘটনার পর দিনে দু’বেলা পার্টি অফিসে এলেও প্রসাদের বাড়িতে একবারের জন্যও যাননি পুরপ্রধান। খোঁজ নেননি পরিবারের। অথচ, এই প্রসাদকেই পুরভোটে তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই তিনটি ওয়ার্ডেই জিতেছে তৃণমূল। পরিবারের এক সদস্য জানান, প্রসাদ একসময় নিহত তৃণমূল নেতা শ্রীনু নাইডুর ঘনিষ্ঠ ছিল। ঠিক যেভাবে শ্রীনু নাইডু খুন হয়েছিলেন নিজের পার্টি অফিসে, সেভাবেই বাড়ির কাছে ওল্ড সেটেলমেন্টের মাতা মন্দিরের সামনে খুন হতে হয় প্রসাদকেও।
প্রসাদ খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিস তিন জনকে গ্রেফতার করছে। প্রসাদ ঘনিষ্ঠদের দাবি, খুনের পিছনে শাসকদলেরই আরও বড় মাথা আছে। তাই, স্থানীয় পুলিসে নয়, পরিবারের দাবি এখন সিআইডি তদন্ত। এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রসাদের বাবা আনন্দ রাও, ভাই আদিত্য নারায়ণ রাও এবং ছেলে সাগর কুমার একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। তাঁদের আরও দাবি, দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই খুন হতে হয়েছে প্রসাদকে। সদস্যদের বক্তব্য, প্রসাদকে দল শুধু ব্যবহারই করেছে। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারে দুর্দিনে দলের কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি।
খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের তরফ থেকে প্রসাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দল পরিবারের পাশেই আছে। পুলিসকে প্রকৃত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।