নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই: ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়ার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এ বার ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ পথে হাঁটতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে এই পদ্ধতিতে সাফল্য মিলেছে বলে খবর। এ বার ভারতেও সেই পথে হাঁটতে চান গবেষকেরা। আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা এক ধরনের মহিলা মশা তৈরি করেছেন৷ খুব শীঘ্রই এই মহিলা মশা ছাড়া হবে৷ যে কোনও মুহূর্তে এই কৃত্রিম মশা ছাড়া হবে বলে আইসিএমআর-সূত্রে জানানো হয়েছে৷ সংস্থার অধিকর্তা অশ্বনী কুমার এ খবর জানিয়েছেন৷
গবেষণাগারে ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশা তৈরি করা হবে। তার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ‘ওলব্যাকিয়া’ নামক ডেঙ্গি প্রতিরোধকারী এক ধরনের ব্যাক্টিরিয়া। তার পর সেই মশা ছেড়ে দেওয়া হবে খোলা জায়গায়। শরীরে ‘ওলব্যাকিয়া’ থাকা মশার সঙ্গে সাধারণ এডিস ইজিপ্টাই মশার মিলনে যদিও বা পরের প্রজন্ম জন্মায় তা হলেও তা থেকে ডেঙ্গি ছড়াবে না।
বেশ কিছু দিন ধরেই সিঙ্গাপুরে এ কাজে তৈরি হয়েছে একটি পৃথক গবেষণাগার। পুরুষ এবং স্ত্রী এডিসের মিলনে গবেষণাগারে যে ডিম উৎপন্ন হচ্ছে, তাতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওলব্যাকিয়া ঢোকানো হচ্ছে। ডিম থেকে যে পুরুষ মশাগুলি বার হচ্ছে সেগুলিকে ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় ছাড়া হচ্ছে। গবেষণাগারের পুরুষ মশাগুলির সঙ্গে বাইরের স্ত্রী এডিসের মিলন হলে ডিম উৎপন্ন হবে। কিন্তু, সেই ডিম থেকে এডিসের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি হবে না!
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার পদ্ধতিটি ভিন্ন। ‘ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম’-এর অন্তর্গত সেখানকার গবেষণায় একই রকম ভাবে গবেষণাগারে ডিমের মধ্যে ওলব্যাকিয়া ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু পুরুষ নয়, গবেষণাগারে তৈরি ওলব্যাকিয়া রয়েছে এমন স্ত্রী মশাদের ইচ্ছাপূরণে বর্হিজগতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে গবেষণাগারের স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলনে এডিসের সন্তান-সন্ততি হবে। কিন্তু তারা ওলব্যাকিয়া মুক্ত হবে না। ফলে এডিসের প্রজন্ম হ্রাস না করেই ডেঙ্গি রোধ সম্ভব বলে দাবি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের।
আরও পড়ুন: Nairobi Fly: শিলিগুড়ির পর কি নাইরোবি ফ্লাইয়ের হানা আলিপুরদুয়ারে, কিশোর-সহ আক্রান্ত ৮