কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: এফআইআর দায়ের বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের বিরুদ্ধে। রাহুল গান্ধীর একটি ভুয়ো ভিডিয়ো সম্পর্কিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন এবং সুব্রত পাঠকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সোমবার কংগ্রেসের মিডিয়া ও প্রচার দলের প্রধান পবন খেরা জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে সাংসদ এবং অন্য চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর এবং সুব্রত পাঠকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠিও দেন।
এক বেসরকারি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সঞ্চালক রাহুলের বক্তব্যের ভিডিয়ো দেখান৷ সেখানে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, হামলাকারীরা ছোট ছেলে। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রাহুলের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, উদয়পুরের খুনিরা ছোট ছেলে। সঞ্চালককে প্রশ্ন করতেও দেখা যায়, যদি দেশের এত বড় এক জন নেতা খুনের ঘটনাকে ছোটদের ঘটনা বলে উল্লেখ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা যাবে?
দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। বিজেপির একাধিক নেতা টুইট করেন৷ শুরু হয় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা। সমালোচনা শুরু হয় কংগ্রেস সাংসদদের। রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, সুব্রত পাঠক, কমলেশ সাইনির মতো একাধিক বিজেপি সাংসদ-সহ একাধিক বিধায়ক সেই ভিডিয়ো টুইট করে রাহুলের মুণ্ডুপাত শুরু করেন।
এর পরই আসরে নামে কংগ্রেস। দলের প্রবীন নেতা জয়রাম রমেশ খোলা চিঠি লেখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। রমেশ লেখেন, আপনার কর্মী-সমর্থকদের সত্যি কথাটা বলুন। রাহুল গান্ধি সেই কথাগুলো বলেছিলেন, কেরলের ওয়ানড়ের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর প্রসঙ্গে। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সদস্যরা কার্যালয়ে হামলা করেছিল। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সে দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, ওটা ছোট ছেলেদের কাজ। সেই ভিডিয়ো-ই ভাইরাল হয়ে ওঠে।
পুরো বিষয়টি উল্লেখ করে, জয়রাম রমেশ চিঠিতে দাবি করেন , ভুয়ো খবর ছড়িয়ে রাহুল গান্ধিকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা নিন্দনীয়-ঘৃন্য কাজ। নাড্ডাকে অনুরোধ করে রমেশ এই ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।
