বসিরহাট: মণিপুরের ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বসিরহাটের জওয়ান মহিউদ্দিনের৷ রবিবার দুপুরে তাঁর কফিনবন্দি দেহ পৌঁছবে গ্রামে৷ এদিন মণিপুর থেকে দুপুর ১২টায় দমদম বিমানবন্দরে নামবে মহিউদ্দিনের দেহ৷ সেখান থেকে সড়কপথে তাঁর কফিনবন্দি দেহ পৌঁছবে বাড়িতে৷ এদিকে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম৷ গ্রামের ছেলেকে শেষ বিদায় জানাতে তৈরি বসিরহাট ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা৷
২০২১ সালের অগস্টে মহিউদ্দিনের বদলি হয়েছিল মণিপুরের নালে জেলায়৷ তিনি ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের গোর্খা রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন৷ মহিউদ্দিনের মতো তাঁর ছোট ভাই মিয়াজুদ্দিনও সেনাবাহিনীকে কর্মরত৷ পরিবার জানিয়েছে, ইদের ছুটিতে দুই ভাইয়ের বাড়ি আসার কথা ছিল৷ কিন্তু মিয়াজুদ্দিন ছুটি পেলেও মহিউদ্দিনের ছুটি মঞ্জুর হয়নি৷ তাঁকে মণিপুরের তুপুর স্টেশনে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ ২৯ জুন রাতে সেখানেই ধস নামে৷ নিখোঁজ হন বহু সেনা৷
ধসের ঘটনাকে রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। ইতিমধ্যে ধসে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এখনও চাপা পড়ে আসেন বহু৷ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা একাধিক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে মণিপুরের ধসে৷ শনিবার দুপুরে বনগাঁ ব্যারাকপুর নাগরাকাটার তিন সেনা জওয়ানের মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছয়৷ ওইদিন দিন সকালে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে৷
জানা গিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরে নামার পর তাঁর মৃতদেহ রাজারহাট হাড়োয়া রোড হয়ে সোজা বসিরহাটের বাড়িতে এসে পৌঁছবে৷ সেখানে নিহত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাবেন পরিবার ও এলাকার মানুষ৷ তারপর গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মহিউদ্দিনের৷ উপস্থিত থাকবেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা৷ দাদার শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন গোর্খা রেজিমেন্টের ১০৭ নম্বর ব্যাটলিয়নের সদস্য ভাই শেখ মিয়াজুদ্দিন৷
আরও পড়ুন: Howrah: রাস্তায় ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাওড়ায় মৃত্যু যুবকের