নয়াদিল্লি: অমরাবতীর ওষুধ ব্যবসায়ী উমেশ প্রহ্লাদ কোলহের খুনের তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে৷ শনিবার টুইট করে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ দু’সপ্তাহ আগের ওই খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ তাদের পুলিস হেফাজতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে৷
২১ জুন রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন উমেশ৷ তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা৷ খুনের কিছুদিন আগে উমেশ বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন৷ পুলিসের অনুমান, নূপুর শর্মার বক্তব্যের সমর্থনে উমেশ ফেসবুক পোস্ট করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। উমেশের পরিবারেরও এমনটাই অভিযোগ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার৷
MHA has handed over the investigation of the case relating to the barbaric killing of Shri Umesh Kolhe in Amravati Maharashtra on 21st June to NIA.
The conspiracy behind the killing, involvement of organisations and international linkages would be thoroughly investigated.
— गृहमंत्री कार्यालय, HMO India (@HMOIndia) July 2, 2022
উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল মুদস্সর আহমেদ এবং শাহরুখ পাঠান। তাদের জেরা করে ঘটনার পিছনে আরও চারজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেছে সিটি কোতয়ালি থানার পুলিস। তাদের মধ্যে আব্দুল তৌফিক, শোয়েব খান এবং আতিব রশিদ নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামিম আহমেদ বলে আর এক যুবক পলাতক।
পুলিস জানায়, ঘটনার রাতে উমেশ স্কুটারে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্য একটি স্কুটারে ছিলেন তাঁর ছেলে সংকেত এবং পুত্রবধূ বৈষ্ণবী। লিখিত অভিযোগে সংকেত জানান, তাঁরা মহিলা কলেজ নিউ হাই স্কুলের গেটের কাছে যখন পৌঁছন, তখন মোটর সাইকেলে চেপে দুই ব্যক্তি তাঁর বাবার স্কুটারের সামনে আসে। তারা বাবাকে থামতে বলে। বাবা স্কুটার থামাতেই একজন তাঁর গলার বাঁ দিকে ছুরি চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উমেশ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। সংকেত স্কুটার থামিয়ে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করার চেষ্টা করেন। সেই সময় আর একজন ব্যক্তি চলে আসে সেখানে। তারপর তিনজন ওই মোটর সাইকেলে চেপেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে উমেশকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কোতয়ালি থানার এক অফিসার জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে, পলাতক শামিম তাদের ১০ হাজার টাকা এবং একটি গাড়ি দিয়েছিল পালিয়ে যাওয়ার জন্য। ওই অফিসার জানান, শামিমই ওই পাঁচজনকে উমেশকে খুনের বরাত দেয়। সে দুজনকে উমেশের উপর নজরদারি চালাতে বলেছিল। উমেশ দোকান ছাড়ার পর বাকি তিনজনকে শামিম সতর্ক করে দেয়। তার পরেই খুনের ঘটনা ঘটে।
এক পুলিস কর্তা জানান, উমেশ হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করে একটি পোস্ট প্রচার করেন। যে গ্রুপে তিনি সেটি পোস্ট করেন, তা মুসলিম সদস্যদের নিয়ে গঠিত। শুধু তাই নয়, তারা উমেশের দোকানের নিয়মিত খদ্দেরও। ভুলবশতই উমেশ গ্রুপে পোস্টটি প্রচার করেছিলেন। ধৃতদের মধ্যে একজন পুলিসকে বলেছে, উমেশ পয়গম্বরকে অপমান করেছে। কাজেই তাকে মরতেই হত।