মণিপুর: উদ্ধার হল মণিপুরে ধসে নিখোঁজ বসিরহাটের বাঙালি জওয়ানের মৃতদেহ। শনিবার সকালে বসিরহাটের জওয়ান বছর ৩২-এর শেখ মুইউদ্দিন দেহ উদ্ধার করা হয়। ফলে মণিপুরে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার তল্লাশির পর অবশেষে উদ্ধার হল মণিপুরের ধসে নিখোঁজ বসিরহাটের সেনা জওয়ানের দেহ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মণিপুরের টুপুল রেল স্টেশনে রেললাইন পাতার কাজের সময় সেখানকার নিরাপত্তার কাজে কর্মরত ছিলেন জওয়ান শেখ মুইউদ্দিন। সেই সময় অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বিধ্বংসী ধসে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তারপর থেকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, অসম রাইফেলস ও টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে এদিন সকালেই বাংলার ১০ জওয়ানের দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে। এদের মধ্যে ন’জন জওয়ানই দার্জিলিংয়ের। একজন রয়েছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। বাংলার যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের দেহ আনার ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসন মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। ধসে এখনও নিখোঁজ ১২ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী, অসম রাইফেলস ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। ওয়াল ব়্যাডারের মাধ্যমেও চলছে উদ্ধার কাজ। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্নিফার ডগ।
আরও পড়ুন: Uddhav Thackray: ‘দলবিরোধী কাজ’, শিণ্ডেকে শিবসেনা থেকে বহিষ্কার করলেন উদ্ধব
শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রেলকর্মী, এলাকার বাসিন্দা এবং জওয়ান মিলিয়ে প্রায় ৬০ জনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজদের মধ্যে বাংলারও কয়েকজন আছেন।