করোনার ধাক্কা সামলে প্রায় দু বছর পর আবার সেজে উঠেছে যাত্রাপাড়া। প্রতিবছরই এই দিনের জন্য যাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। তৈরি হয় বিশেষ কর্মসূচিও। মুক্তি পায় নতুন যাত্রার নানান পোস্টার। কিন্তু গত দুবছর মহামারীর জন্য যাত্রাপাড়ায় তেমন কিছু চোখে পড়েনি। থমকে গিয়েছিল যাত্রা। দীর্ঘদিন পর রথের দিন সেজে উঠেছে আবার চিতপুর। কিছুটা হলেও চাঙ্গা দেখাচ্ছে। শুরু হয়েছে নতুন শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা। প্রকাশিত হয়েছে নিয়ে একটি বই। যেটির নাম ‘যাত্রা দর্পণ’। যেখানে লেখা থাকবে বিভিন্ন যাত্রা দলের নাম এবং শিল্পীদের তালিকা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন যাত্রা পোস্টার। যা দেখে অগ্রিম বুকিং করা যাবে। আজ আয়োজন করা হয়েছে মাঙ্গলিক পুজোরও। এবার যাত্রার মঞ্চে দেখা যাবে ‘বাদামকাকু’ ভুবনবাবু বাদ্যকার। তিনি কখনো যাত্রায় অভিনয় করেননি। যাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেরই আশা দীর্ঘ দু’বছর পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চলেছে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম আদি অঙ্গ যাত্রা। পুরো দমে শুরু হবে আবার নতুন যাত্রার মহড়া। খোলা ময়দানে আবার সেজে উঠবে মঞ্চ। গ্রামে-গাঞ্জে-শহরে যাত্রা দেখতে ভিড় জমাবে আবার মানুষের ঢল। আজ রথের দিনে সেই আশাতেই বুক বাঁধছে চিৎপুর।