কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দু’দশকেরও প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত। বরাবরই প্রচারের আলো থেকেও দূরে থাকতে ভালোবাসেন। চারবারের বিধায়ক। সামলেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে একসময় অটোও চালিয়েছিলেন। ৫৮ বছরের সেই একনাথ শিণ্ডেই এবার বসছেন মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে। রাজনৈতিক গুরু আনন্দ দীঘে মৃত্যুর পর থানেতে শিবসেনার খুঁটি শক্ত করতে শিণ্ডের বড় ভূমিকা ছিল।
১৯৬৪ সালে সাতারাতে জন্ম একনাথের। একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৮০ সালে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবসেনা যোগ দেন। সেই সময় একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন একনাথ। ৪০ দিন জেলও খাটেন শিণ্ডে। একদা থানে শহরের অটো ড্রাইভার শিণ্ডে ধীরে ধীরে দলে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আসেন। ১৯৯৭ সালে থানে পুরনিগমের কর্পোরেটর পদে বড় ব্যবধানে জয় পান।
২০০১ সালে থানে পুরনিগমের দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ অবধি ওই পদে ছিলেন শিণ্ডে। ২০০৪ সালে বিধানসভার টিকিট পান। বড় ব্যবধানে জেতেন সেবার। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন ওই কেন্দ্র থেকেই। ২০১৯ সালে মহাবিকাশ আঘাডী সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে।
এর আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও পালন করেছেন শিণ্ডে। ২০১৪ সালে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের মন্ত্রীও হন। আচমকা কী কারণে শিণ্ডে বিদ্রোহী হলেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে চমক রয়েছে অন্য জায়গায়। যেই শিণ্ডে সম্প্রতি উদ্ধবের ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে অযোধ্যা সফরেও গিয়েছিলেন, সেই শিণ্ডের চালেই কিস্তিমাত হলেন উদ্ধব।
আরও পড়ুন: Eknath Shinde: শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী, টিভিতে দেখেই গোয়ার হোটেলে উদ্দাম নাচ বিদ্রোহী বিধায়কদের