চুল নিয়ে চিন্তায় নেই বর্তমান যুগে এমন মানুষ মেলা ভার। চুল নিয়ে একাধিক সমস্যার অন্যতম চুল পড়ার সমস্যা। আধুনিক জীবনযাপন,কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যা, জেনেটিক সমস্যা ছাড়াও নিত্যদিনের বেশ কিছু ভুল অভ্যেসের কারণেও ঝরে পরে চুল। সময় থাকতে সেই সব ভুল শুধরে না নিলে আরও বাড়তে পারে চুল পরার সমস্যা। যেমন-
কখনও কোকড়ানো কখনও স্ট্রেট কখনও ওয়েভি, হেয়ার স্টাইল নিয়ে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন অনেকেই। দেখতে ভালও লাগে। তবে এই সব স্টাইলিংয়ের সরঞ্জামের থেকে যে হিট বেরোয় তাতে দিনের পর দিন এগুলো ব্যবহার করতে থাকলে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল। দীর্ঘদিনের ব্যবহারে এই সব সরঞ্জাম চুলের ন্যাচারাল টেক্সচার নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি নিজস্ব আর্দ্রতা হারিয়ে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ঝরে পড়ে।
স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পু করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন আবার অতিরিক্ত ব্যবহারে শাম্পুতে থাকা রাসায়নিক সালফেট চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। গোড়া হাল্কা হয়ে যাওয়ায় বেড়ে যায় চুল পড়া।
বেশি ফাস্ট ফুড খেলেও বেড়ে যায় চুলের ঝরে পড়া।
চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া থাকে আলগা আর এই সময় চুল আচড়ালে চুলে অল্প টান পড়লেই সহজেই চুল ছিঁড়ে যায়।
ঘন ঘন গরম জল দিয়ে মাথা ধুলে একদিকে যেমন খুশকির সমস্যা তৈরি হয় ঠিক তেমনই চুলের গোড়া হাল্কা হয়ে চুল ভঙ্গুর প্রবণ হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।
ঘন ও কোকড়ানো কিংবা চুলে জট পেকে গেলে যদি ছোট দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা হয় তা হলে জট ছাড়াতে গিয়ে চুল ঝরে পড়ে। তাই সব সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
গরমকালে চুল খোলা রাখলে খুবই কষ্ট হয়। তাই অনেকেই চুল খুব টেনে বাধেন চুলে অতিরিক্ত টান পড়ে। আর দীর্ঘক্ষণ যদি এ ভাবে চুল বেঁধে রাখা হয় তা হলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে য়ায় এবং চুল সহজেই ঝরে পড়ে। এই সমস্যার বাড়াবাড়ি হলে ট্রাকশন অ্যলোপেসিয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।
প্রত্যেকদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা করে না ঘুমোলে যেমন ওজনের ওপর প্রতিকুল প্রভাব পড়ে ঠিক তেমনই বেড়ে যায় চুল পড়ার সমস্যা। ঠিক একই ভাবে স্ট্রেস থাকলে কিংবা কোনও কিছু নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করলেও তার প্রভাবে পড়ে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর।
(ছবি সৌ: Unsplash)