কন্টিনেনটাল, চাইনিজ কিংবা ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় কোনও খাবারের রেসিপি হোক কিংবা চোখ ধাঁধানো ত্বক পরিচর্যার রেসিপি এ রকম হয়ত অনেক কিছুই জানা আছে আপনার! কিন্তু নিজেকে ভাল রাখার রেসিপি কি জানা আছে? এমন কিছু উপায় যাতে পরিস্থিতি যত প্রতিকুলই হোক না কেন আপনি থাকতে পারেন সদা হাস্যময়। বেঁচে থাকার আনন্দ যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই যেন মাটি না হয়ে যায়। উত্তর যদি না হয় তা হলে শিখে নিন নিজেকে ভাল রাখার খুঁটিনাটি। আর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তা হলে মিলিয়ে দেখুন আপনার ভাল থাকার রেসিপির এগুলোর সঙ্গে মেলে কী না?
কথা বলুন
জীবনে চলার পথে নানান চড়াই উতরাইয়ের সম্মুখিন হতে হয় সবাইকে। হাতে হাতে ধরে চলে ভাল ও খারাপ সময় দু’টোই। তাই মন খারাপের দিনগুলো একা না কাটিয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলতে ইচ্ছে না করলেও বলুন। কথা বলে আপনার ভাল লাগবে অনেকটা হাল্কা বোধ করবেন।
গান শুনুন
কথায় আছে মিউজিক ইজ দ্য ফুড ফর সোল। হতেই পারে প্রিয়জনেরা কাজে ব্যস্ত। কিন্তু এদিকে মন যে অশান্ত হয়ে পড়েছে! এই অবস্থায় গানের শরণাপন্ন হতে পারেন। লাইট ও সু্দিং মিউজিক শুনুন। দেখবেন মন শান্ত হবে। খুশি থাকলে যে সব গান আপনার খুব প্রিয় সেই গানও শুনতে পারেন। আস্তে আস্তে নিজের অজান্তেই মন ভাল হয়ে যাবে।
পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটান
বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাদের সঙ্গে সময় কাটান। আপনার মন খারাপের কথা দেখবেন তার ঠিক বুঝতে পারবে আর সহজ সরল স্বভাবের এরা এমন কিছু করবে যে বেমালুম ভুলে যাবেন মন খারাপের কথা।
ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ুন
মন খারাপের খুব ভাল ওষুধ এটা। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। পারলে সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাটুন। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান। গথে বাঁধা ব্যস্ততার থেকে খানিকটা সময় বার করে আশেপাশের জগতটাকে খুটিয়ে দেখুন। নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে পাবেন।
হেলদি ড্রিংক খান
প্রথমে মন খারাপ আর সেই কারণে শরীর খারাপ। তাই মন খারাপ হলে শরীরের অযত্ন করবেন না। শরীর ঠিক রাখতে হেলথ ড্রিঙ্কস খান। কমলালেবুর রস কিংবা ডাবের জলও খেতে পারেন। শরীর চাঙ্গা থাকবে। মন খারাপও কিছুটা কমবে।
রাতে জেগে না থেকে ঘুমোন
মন খারাপ হলে যেটা অনেকেই করেন সেটা হল রাতের পর রাত জেগে কাটান। এটা ঠিক নয়। বরং মন খারাপ কিংবা ডিপ্রেশনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। এক রাতের ভাল ঘুম দেখবেন পরের দিন সকালে কেমন আপনার মন ভাল করে দিয়েছে।
(ছবি সৌ :Unsplash)