প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে ইমামির খসড়া চুক্তিপত্র এসে পৌছল ইস্ট বেঙ্গলে। এবং সেই খসড়া চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল হলুদের আইনজীবীদের কাছে। তিন চার দিনের মধ্যে আইনজীবীরা সেই চুক্তিপত্রে সম্মতি দিলেই ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই হবে ইমামির। হয়তো সামনের সপ্তাহেই। তার পর শুরু হবে দলগঠনের কাজ। চুক্তিপত্রের ব্যাপারে যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে ইমামি আশি শতাংশ শেয়ার চেয়েছে যৌথ কোম্পানির। তবে ইস্ট বেঙ্গল কর্তাদের আশা, আলোচনার টেবলে বসে সেই শতাংশের কিছুটা কমানো সম্ভব হবে। কিন্তু কোয়েস বা শ্রী সিমেন্টস দল গঠন এবং ফুটবল দল পরিচালনার ব্যাপারে ইস্ট বেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করতেন না। ইমামি বেশির ভাগ দায়িত্ব ইস্ট বেঙ্গলের হাতেই তুলে দিতে চায়।
তবে পুরো দায়িত্ব পেলেই যে ইস্ট বেঙ্গল এ বছর খুব ভাল দল গড়বে তা ভাবা ভুল। এ ব্যাপারে লাল হলুদের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ” এ বছর অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্লেয়ার প্রায় নেই বললেই হয়। তবে আমরা চেষ্টা করব যথাসম্ভব ভাল টিম গড়তে। এখনও কোচও ঠিক হয়নি। আমরা কোচের পরামর্শ মেনেই টিম গড়ি। এ বছর সেই নিয়মটা মনে হয় মানতে পারব না। তবু চেষ্টা তো করতে হবে।” ইস্ট বেঙ্গল বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছে। ইমামির সঙ্গে চুক্তির পর তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হবে এবং সই করানো হবে। আর বিদেশিদের সঙ্গে তো কথাই হয়নি। এই ব্যাপারে আই এস এল-এর অন্য ক্লাবগুলো অনেক এগিয়ে আছে। এ বছর ইস্ট বেঙ্গল শুধু আই এস এল নয়, খেলবে ডুরান্ড কাপ, কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ এবং আই এফ এ শিল্ডে। আই এস এল খেলার পর থেকে ইস্ট বেঙ্গল এই টুর্নামেন্টগুলো খেলেনি। এবার চারটে টুর্নামেন্টে তারা খেলবে। ইমামির হাতে দেওয়া হচ্ছে শুধু ফুটবল রাইটস। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি দু পক্ষের সই সাবুদ হয় এবং তারপর ইস্ট বেঙ্গল ভাল দল গড়তে পারে কি না।