কলকাতা: বাসে যাতায়াতের সূত্রে আলাপ৷ ক্রমে পরিচয়৷ সেখান থেকে গড়ে ওঠে সম্পর্ক৷ তারপর পরস্পরকে ভালোবাসা৷ সেখান থেকে অধিকারবোধ৷ সেই অধিকারবোধ থেকে খুন৷ গড়ফা থানা এলাকার শরৎ বোস কলোনীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া শান্তি সিংয়ের খুনের নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন রয়েছে বলে মনে করছে পুলিস৷ শান্তিকে খুন করেছে তারই লিভ ইন পার্টনার বাবুলাল৷ পুলিস সূত্রে খবর, শান্তির প্রতি অধিকারবোধ জন্মেছিল বাবুলালের৷ সেখান থেকে ঝামেলার সূত্রপাত৷ তার জেরে খুন হতে হয় শান্তিকে৷
পেশায় বাবুলাল বাসচালক ছিল৷ ১০ বছর আগে বাসেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় শান্তির৷ পুলিস সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বাসিন্দা শান্তির একটা চায়ের দোকান ছিল৷ তাছাড়া সে আয়ার কাজও করত৷ বাবুলালের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পর শান্তি মাঝেমধ্যে ওই ফ্ল্যাটে যেত৷ ঘটনার দিন শান্তি সেখানেই ছিলেন৷ তারপর দুজনের মধ্যে কোনও বিষয়ে বচসা শুরু হয়৷ এরপরই শান্তির গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে৷ তারপর বালিগঞ্জ থেকে ঢাকুরিয়া স্টেশনের কাছে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বাবুলাল৷
লিভ ইন পার্টনারকে খুনের পর তাঁর বোনকে ফোন করে বাবুলাল৷ ফোনে দিদিকে খুন করার খবর দেয় সে৷ তারপরই ফোনটি সুইচ অফ করে আত্মঘাতী হয় বাবুলাল৷ পুলিস জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটি আগে প্রেমিক বাবুলালের নামে ছিল৷ দু’বছর আগে সেটি সে প্রেমিকা শান্তির নামে লিখে দেয়৷ তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, শান্তিকে খুব ভালোবাসত বাবুলাল৷ ভালোবাসা ক্রমে আসক্তিতে পরিণত হয়৷ যে কারণে মঙ্গলবার দু’জনের মধ্যে বচসা হয়৷ তারপর শান্তিকে খুন করে বাবুলাল৷ পরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় বাবুলালের মৃতদেহ৷
আরও পড়ুন: Kolkata Suicide: শহরে যুগলে আত্মঘাতী, ওষুধের ব্যবসা বন্ধেই অভাবে অবসাদ