জলপাইগুড়ি: তিস্তা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর। তিস্তা নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় সোমবার ভোররাতে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় ময়নাগুড়ি দোমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। অন্যদিকে, তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেতও জারি করা হয়। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এবং সংরক্ষিত দুই এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।
জলপাইগুড়ি সেচ দফর সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ২ হাজার ২৪৭ কিউসেক। এর ফলে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। এই কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের সংলগ্ন বাসিন্দারা।
পাশাপাশি সোমবার রাতের বৃষ্টিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে মেটেলি ব্লকের মাথাচুলকা সংলগ্ন কুর্তি নদীতে। নদী উপচে জল ঢুকে পড়েছে একটি রিসোর্টে। রিসোর্টের বাগান দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে জল। পাশাপাশি নদী সংলগ্ন যে সমস্ত কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো জলের তলায় চলে গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টি না-হওয়ায় জল নামতে শুরু করেছে নদী থেকে। ফের যদি আরেকবার ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়, তবে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: এই আপনার ‘আচ্ছা দিন’, মোদিকে টুইটে খোঁচা রাহুলের
একইভাবে সোমবার বিকেল থেকে বৃষ্টির জেরে মেটেলি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ব্লকের বিভিন্ন নদীতেও ভাঙন হচ্ছে। ব্লকের আইভিল চা বাগানের যাতায়াতের কয়েকটি কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চালসার স্কুলপাড়া, ডিইসি পাড়ার বহু বাড়ি জলমগ্ন। কুর্তি নদীর জল ঢুকে মিঠাইধুরা এলাকার বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শালবাড়ি এলাকায় নেওড়া নদীর প্রবল ভাঙন তৈরি হয়েছে। মাথাচুলকা ও দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকার বেশ কয়েকটি বেসরকারি রিসোর্টও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।