কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত শুনানির আবেদনও জানানো হয়। পর্ষদের সেই আবেদন গ্রহণ করল না বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, নিয়ম মেনে মামলা দায়ের করতে হবে। তার পর শুনানি গ্রহণ করবে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে।
সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আপাতত পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি দায়িত্ব সামলাবেন। রাজ্য সরকারকে দ্রুত পর্ষদের নতুন সভাপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা ২টোয় মানিককে আদালতে হাজির হয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আজ, মঙ্গলবার বেলা দু’টোয় ফের শুনানি রয়েছে।
সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত যে সমস্ত নথি জমা দিতে বলেছিল আদালত, তার অনেক কিছুই পেশ করতে পারেনি পর্ষদ। তাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলা হয়েছিল, ২০১৭ সালে পর্ষদ যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল, সেই কমিটির সদস্যদের নাম দিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ নাম দিয়েছে সিলেবাস কমিটির সদস্যদের। বিচারপতির মন্তব্য, পর্ষদ ওই সদস্যদের তালিকা অনুমোদন কমিটির সদস্য বলে আদালতে দেখিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভাঁওতা।
আরও পড়ুন: Supreme Court-Agnipath: অগ্নিপথ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্রের ক্যাভিয়েট
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বরের বৈঠকের যে নথি পর্ষদের তরফে আদালতে পেশ করা হয়, তাতে বিন্দুমাত্র ময়লা না থাকায় আশ্চর্য হয়ে যান বিচারপতি। তিনি বলেন, এতেই মনে হচ্ছে এই নথি সম্প্রতি তৈরি করা। সমস্ত নথি এবং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গঠিত কমিটির যে সব সদস্য বৈঠকের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেননি, তাঁদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে স্বাক্ষর না করার কারণ।