কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিবীর হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শহীদ হলে ১ কোটি টাকার বিমা পাবে পরিবার। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী জানান, কর্মরত অবস্থায় শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাকি সময়কালের সম্পূর্ণ বেতন ও তহবিলের প্যাকেজ পাবেন ওই অগ্নিবীর। বায়ুসেনায় কাজের জন্য অগ্নিবীররা ৪৮ লাখ টাকার জীবন বিমার সুবিধা পাবেন।
দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই ‘অগ্নিপথ’ বাস্তবায়নে একধাপ এগোল কেন্দ্র। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য আপলোড করা হল বায়ুসেনার ওয়েবসাইটে। বায়ুসেনার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৪০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। দু’টি ব্যাচে নিয়োগ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ব্যাচে ২৫ হাজার অগ্নিবীরকে নেওয়া হবে। বাকি ১৫ হাজার ফেব্রুয়ারির মধ্যে নেওয়া হবে। সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জুলাই থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ শুরু হবে। সেই জন্য জুন মাসের শেষ থেকেই পৃথক ভাবে বিজ্ঞপ্তি দেবে জল-স্থল ও বায়ুসেনা।
২৪ জুন বায়ুসেনা, ২৫ জুন নৌসেনা এবং ১ জুলাই স্থলসেনা বিজ্ঞপ্তি বের করবে। শারীরিক পরীক্ষা হবে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। বছরে ৩০টি ছুটি পাবেন অগ্নিবীররা। শারীরিক অসুস্থতার জন্যও ছুটি পাওয়া যাবে। তবে তা চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই মিলবে।
আরও পড়ুন: Agnipath Scheme: ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৪০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ, জানাল সেনা
লিউটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী এদিন জানান, ১৯৮৯ সাল থেকে এটা আটকে ছিল৷ এই সংস্কারের মাধ্যমে সেনা বাহিনীতে তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন করবে৷ তাছাড়া জওয়ানদের একটা বড় অংশের বয়স ৩০ পেরিয়েছে৷ বাহিনীর ক্ষেত্রে এটা চিন্তার কারণ৷ কেন না সীমান্ত সুরক্ষার কাজে তারুণ্যের প্রয়োজন৷