রান্নায় বিশেষ আগ্রহ নেই কিন্তু চাকরি সুত্রে কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য থাকতে হচ্ছে বাড়ি থেকে দূরে। পাড়ি দিতে হয়েছে অন্য শহরে। রান্নায় সদ্য হাতেখড়ি হয়েছে এক প্রকার বাধ্য হয়েই স্মার্টফোনের মায়া ত্যাগ করে অবসর সময় হাতে খুন্তি ধরতে হয়েছে। রোজ রোজ তো আর বাইরের খাবার চলে না! তাই চালানোর মতো রান্না করছেন। কিন্তু তাতে পেট ভরলেও মন ভরছে কই? আপনার অবস্থাও কি অনেকটা এ রকম। তাহলে নিত্যদিনের বেশ কিছু পদ কীভাবে আরও সুস্বাদু করে তোলা যায় রইল সেই সংক্রান্ত দারুণ কিছু টিপস।
এইভাবে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু আলুর পরোটা
আলুর পরোটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন আবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। আলাদা করে কোনও তরকারি বানানোর প্রয়োজন নেই পছন্দের সস, চাটনি কিংবা টক দই দিয়ে খেয়ে নেওয়া যায়। তাই এই আলুর পরোটা আরও সুস্বাদু বানাতে আলুর পুরে সেঁকে পিষে রাখা জিরে গুঁড়ো সঙ্গে সামান্য কসুরি মেথি ও সামান্য ম্যাগি মশলা মিশিয়ে নিতে পারেন।
পার্ফেক্ট হোম মেড কেক
রান্নায় হাত পাকানোর পক্ষে বেকিং বেশ ভাল। আচমকা মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে কিংবা সময় অসময়ে সুগার ক্রেভিংয়ের জন্য বাড়িতেই বেক করে নিন কেক। আর কেক যাতে সুস্বাদু হয় তা নিশ্চিত করতে চিনি ক্যারাম্যালাইজ করে নিন। এর জন্য কড়াইয়ে চিনি দিয়ে সেঁকে নিন। চিনির রঙ বদলে সোনালী হয়ে গেলে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে নিন।
পায়েস আরও গাঢ় করতে
পায়েস যাতে দুধ ভাত না হয়ে যায় তার জন্য দুধে চাল দেওয়ার কয়েক মিনিট পর সামান্য কর্ন ফ্লাওয়ার জলে গুলে নিয়ে দুধে ঢেলে দিন এবং তারপর হালকে আঁচে পায়েস গাঢ় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন।
ক্রিস্পি ধোসা বানাতে
ভাত, রুটি কিংবা ২ মিনিটের নুডলসের একঘেয়ে স্বাদ বদলাতে ব্রেকফাস্টে কিংবা ডিনারে ধোসা মন্দ নয়। তবে অধিকাংশে ক্ষেত্রে অনেক পাকা রাধুনিও মুচমুচে ধোসা বানাতে ব্যর্থ হন। তবে এর একটা সহজ উপায় আছে ধোসার ব্যটার যদি বাড়িতেই বানান তাহলে চাল ও ডাল ভেজানোর সময় সঙ্গে কয়েকটা মেথি দিয়ে দিন। পরে সব একসঙ্গে পিষে ব্যটার বানিয়ে নিন।
(ছবি সৌ: Unsplash)