কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বুলডোজার অভিযান নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিনদিনের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই অভিযানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ সহ বেশ কিছু সংগঠন। তাদের আবেদন ছিল, শীর্ষ আদালত ওই অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ না দিলেও বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না। শীর্ষ আদালত বলেছে, যাদের বাড়িঘর ভাঙা হল, তারাও সমাজের অংশ।
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তখনই বলেছিলেন, ভোটের পর এই অভিযান চলবে। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কড়া হাতে দমন করার জন্য বুলডোজার অভিযানকে প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছিলেন। এর ফলে ওই রাজ্যে যোগীকে বুলডোজার দাদা বলেও ডাকা হচ্ছিল। ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ বাড়তি উদ্যম নিয়ে বুলডোজার অভিযান শুরু করেন। অভিযোগ ওঠে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ সামনে রেখে এই অভিযান চলে জেলায় জেলায়।
সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং দিল্লি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান নবীন জিন্দলের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে সারা দেশ উত্তাল হয়। উত্তরপ্রদেশেও পয়গম্বরকে অপমান করার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই পর্বেও অভিযোগ ওঠে, বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরদোর বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বাবা বিক্ষোভে অংশ নেন বলে তাঁর বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়। এসবের প্রতিবাদেই জমিয়ত উলেমা-সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
আরও পড়ুন: Agnipath Violence: অগ্নিপথের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ দেশ
দিন তিনেক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি বুলডোজার অভিযানে সাফাই গেয়েছিলেন। বিজেপির এক সভায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মাফিয়াদের একমাত্র দাওয়াই বুলডোজার। যারাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে, তাদেরই উপর বুলডোজার চালানো হবে।