নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীকে পর পর তিনদিন মোট ৩০ ঘণ্টা জেরা। প্রতিবাদ করতে গেলে আটক করা হয় কংগ্রেস কর্মীদের। মোদি সরকারের এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারও পথে নামল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবনে ঘেরাও করেন কংগ্রেস কর্মীরা। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি সংসদীয় দল দেখা করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে। সাংসদ রাহুলকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
অধীর চৌধুরী পরে বলেন, বিজেপি-মোদি সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করা হলেই সমালোচকদের পিছনে এজেন্সিকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে রাহুল গান্ধীর মতো নেতাকে পর পর তিনদিন জেরা করার পরও শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। এভাবে কোনও তদন্ত হতে পারে না। এটা আসলে হেনস্তা করার এক নিন্দনীয় নজির।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুধু দিল্লি নয়, দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে পথে নামেন কংগ্রেস কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সচিন পাইলট বলেন, বিজেপির কু-শাসন সামনে চলে এসেছে। কংগ্রেস নেতা কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবে কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারে না।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ৩ দিনে ৩০ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ, শুক্রবার ফের তলব রাহুলকে
রাজ্যসভার কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দেখা করেন উপরাষ্ট্রপতি (রাজ্যসভার চেয়ারম্যান) বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে। তাঁর অভিযোগ, গত তিন-চার দিন ধরে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়। গাড়ি ও অন্যান্য জিনিস ভাঙচুর হয়। জখম হয়েছে একাধিক কর্মী। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ইডি ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। এই সরকারকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না।