কলকাতা: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ব্যাপক সাড়া। মাত্র ১০ দিনে ঋণের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২৬ হাজার পড়ুয়া। সব মিলিয়ে ঋণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ১৩৫৫ কোটি টাকা। ৩০ জুন নবান্ন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, পড়াশোনার জন্য বাবা-মায়েদের যে রকম চিন্তা করতে হয়, তার আর প্রয়োজন নেই। পড়াশোনার জন্য ঘরবাড়ি বেচতে হবে না। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারই গ্যারেন্টার হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩০ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ চেয়ে আবেদন করেছেন ২৫ হাজার ৮৪৭ জন পড়ুয়া। আবেদনকারীর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৩৮৪ জন ছাত্র এবং ৯ হাজার ৪৬১ জন ছাত্রী।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আবেদনকারীদের মার্কশিট, সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করে দেখবে শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের আপলোড করা যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। তারপর আবেদনপত্রগুলি ব্যাঙ্কের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন পড়ুয়ারা, সেই প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কোর্স সম্পর্কেও খোঁজ নেবে শিক্ষা দফতর। সমস্ত শর্ত পূরণ হলে ব্যাঙ্ক থেকে লোনের টাকা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
এই কার্ডের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। সরকারই থাকবে ক্রেডিট কার্ডের গ্যারেন্টার। সব ধরণের ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়া যাবে৷ এই টাকা স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক কোর্স, গবেষণায় খরচ করা যাবে। যারা ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন, তাঁদের সকলে দেশে বা বিদেশে কোনও প্রতিষ্ঠানে এই টাকায় পড়াশোনা করতে পারবেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও ঋণ পাওয়া যাবে।