কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি চট্টগ্রামের রাসায়নিক গুদামের আগুন। স্বাধীনতার পর এটিই বাংলাদেশের সবথেকে বড় রাসায়নিক বিপর্যয়। প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন দেড়শোরও বেশি মানুষ। আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। উদ্ধারকাজে সাহায্য করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টার পরেও নেভেনি আগুন। দুর্ঘটনার সময় কয়েকশো শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন৷ ফলে শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন৷ যারা এই অগ্নিকান্ড থেকে বেঁচে ফিরেছেন তাঁদের অভিযোগ, ডিপোর দক্ষিণের পকেট গেটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মী। যে কারণে ডিপোতে আগুন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত শ্রমিকেরা ডিপোর দক্ষিণের পকেট গেট দিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইরে তালা থাকার কারণে তাঁরা সেখানে আটকে পড়েন।
তবে, রবিবার রাত ১০টার মধ্যেই পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যাবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর জিওসি মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, আগুন যতক্ষণ না পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে, ততক্ষণ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তবে, ইতিমধ্যে আগুন বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- India-Pakistan: ভারত ও পাকিস্তান দু’ভাই দু’পথে হাঁটছে
শনিবার রাত ৯ টা৷ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন লাগে৷ জানা গিয়েছে, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক ছিল৷ ফলে একের পর এক বিস্ফোরণে দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন৷ এলাকা ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়৷ আরও দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও পুলিস৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে৷ কিন্তু জোরালো হাওয়া ও জলের অভাবে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাদের৷