Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
India-Pakistan: ভারত ও পাকিস্তান দু’ভাই দু’পথে হাঁটছে
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  • | Edited By: শুভেন্দু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ জুন, ২০২২, ০২:১৮:৫০ পিএম
  • / ৪৪৮ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By: শুভেন্দু ঘোষ

কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ‘ইয়ে আজাদি ঝুঠা হ্যায়’— স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভারতের যাত্রা। ৭৫ বছর পর ভারতের সেই ধর্মনিরপেক্ষতার আব্রু শতচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এমন একজনও নেই, যিনি গেয়ে উঠবেন—‘ঈশ্বর-আল্লা তেরে নাম…।’ ভারতবাসীকে এখন মন্দির-রাজনীতির মোহে বুঁদ করে রাখা রয়েছে। পাকিস্তান ওরফে মুসলিম-বিরোধিতার নেশা ধরিয়ে দেওয়ার সচেতন ও সক্রিয় চোরাস্রোত বইয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে শরীর ধর্মবাদীদের চাপে একদিন দু’টুকরো হয়েছিল, সেই পাকিস্তানকে ক্রমাগত দোষারোপ করে কুর্সি দখলের রাজনীতি চালিয়ে গিয়েছে ভারত।

অথচ, ইসলামের নামে জন্ম নেওয়া পাকিস্তান কিন্তু মধ্যযুগ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন আধুনিক হয়ে উঠেছে। সেখানে হিন্দুত্ব বিরোধী রাজনীতি সক্রিয় ছিল বহুদিন। তা হলেও ৭৫ বছর পর পাকিস্তান কিন্তু ধর্মের দিক থেকে অনেক নরম, উদার ও আধুনিক হয়েছে। আর আমরা ফিরে যাচ্ছি রামরাজত্বের দিকে। এককথায় বলা যায়, ভারত ও পাকিস্তান ৭৫ বছর পরও বিপরীত দিশায় এগিয়ে চলেছে। তফাত শুধু এইটুকুই, পাকিস্তান গোঁড়ামির বেড়া ভেঙে আধুনিকমনস্ক পরিণত হয়েছে। আর ভারত বেদ-উপনিষদ ও আর্য গৌরবের ধুয়ো তুলে ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’র মতো কলঙ্কজনক সত্যযুগীয় রাজধর্মের দিকে পা বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: হাসপাতালের খাবারে কেঁচো! জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ রোগীর পরিবারের

রবিবারই ন্যাশনাল হেরাল্ডে বিখ্যাত কলমচি আকর প্যাটেল এক নিবন্ধে এই বিষয়টি সুচারুরূপে তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতার রাস্তা ছেড়ে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান উলটো স্রোতে বইছে। তারা ধর্মসর্বস্বতা ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর পাকিস্তান ইসলাম-নির্ভর ছিল। তাদের দেশে একের পর এক আইন তৈরি হয়েছে, যেখানে অ-মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রেসিডেন্ট (১৯৬০-এর সংশোধনী) ও প্রধানমন্ত্রী (১৯৭০-এর সংশোধনী) হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। আবার রমজানে রোজা রাখার আইন ব্যর্থও হয়েছে। প্যাটেল দৃষ্টান্ত দিয়ে লিখেছেন, মুসলিম রেস্তরাঁ মালিক ও মাল্টিপ্লেক্স মালিকরা এর ঘোরতর বিরোধিতা করায় সরকার পিছু হটে। একইভাবে, জাকাত আইন প্রয়োগ করতে গিয়েও মুখ পোড়ায় পাক সরকার। আইনে ছিল, সুন্নি মুসলমানদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আড়াই শতাংশ অর্থ সরকার অতিরিক্ত কর হিসেবে নেবে। দেখা গেল, আইন প্রয়োগের আগের দিনের মধ্যেই সুন্নিরা তাদের অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেন।

প্যাটেল লিখেছেন, পাকিস্তানেও ভারতের মতো বেশ কয়েকটি দণ্ডবিধি যেমন ৩০২, ৪২০, ১৪৪ ধারা রয়েছে। আটের দশকে একবার পাকিস্তানে চুরির শাস্তি হিসেবে হাত কেটে দেওয়ার আইন পাশ করার বিষয়ে সমস্ত আদালতের আইনজীবী থেকে বিচারক-বিচারপতিরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই আইন তারপর ঠান্ডাঘরে চলে যায়। অবৈধ সম্পর্কে পাথর ছুড়ে মারার আইন থাকলেও, আজ পর্যন্ত কোনও বিচারে এই শাস্তি হয়নি। মদ্যপানে চাবুক মারার ফতোয়াও বিচারকরা মানতে অগ্রাহ্য করে দেন। বলে দেওয়া হয়, মদ্যপান এতটা গুরুতর অপরাধ নয়।

আরও পড়ুন: Bangladesh fire: বাংলাদেশে কন্টেনার ডিপোতে আগুনে পুড়ে মৃত ১৯, দগ্ধ কয়েকশো

প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের আমলে এক শরিয়তি আদালত ব্যাঙ্কে সুদ প্রদান বাতিল করার দাবি তোলে। কিন্তু, পরে সেটাও বাতিল হয়ে যায়। পাকিস্তানকে পূর্ণাঙ্গ ইসলাম রাষ্ট্র করে তোলা শেষ চেষ্টা হয় ২ দশক আগে। নওয়াজ শরিফের আমলে। ১৫-তম সংশোধনী পাক সেনেটে ভোটাভুটিতে হেরে যায়। যেখানে ইরানের মতো মোল্লাতন্ত্র ও সৌদি আরবের মতো নীতি-পুলিস চালুর প্রস্তাব ছিল।

পাক-বিশেষজ্ঞ লেখক প্যাটেল বলেছেন, পাকিস্তান যখন ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির দিকে এগচ্ছে, তখন ভারত তার উলটো স্রোতে ভাসছে। শুধু একটি বিষয়ে ভারত দাবি করতে পারে যে, এখানে উচ্চপদে সংখ্যালঘুদের বসার ব্যাপারে কোনও আইন নেই। ভারতে মুসলিম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। কিন্তু, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভারতের রাষ্ট্রপতির মতো আলঙ্কারিক পদ নয়। পাক রাষ্ট্রপতির হাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই প্রথম ভারতে কোনও মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী নেই। ১৫টি রাজ্যে ক্যাবিনেট স্তরে কোনও মুসলিম মন্ত্রী নেই। ১০টি রাজ্যে একজন করে মুসলিম মন্ত্রী থাকলেও তাঁরা সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত। লোকসভায় ৩০৩ জন শাসকদলের সাংসদ থাকলেও, কেউ মুসলিম নেই। এর আগের বারও ২৮২ সাংসদের কেউ মুসলিম ছিলেন না। এই প্রথমবার ভারতের ক্যাবিনেট স্তরে কোনও মুসলিম মন্ত্রী নেই। পাকিস্তানে আইন করে সংখ্যালঘুদের উচ্চপদ থেকে বঞ্চিত করা, এদিকে ভারতে মুসলিমদের সুযোগ না-দেওয়া দুটোর মধ্যে কোনও তারতম্য আছে কি?

আরও উদাহরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ২০১৫ সাল থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনসভায় তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভিনধর্মে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপির ৭টি রাজ্য। ২০১৯-এ বিজেপির গুজরাত আইন করে কোনও মুসলমানের হিন্দুর সম্পত্তি কেনা বা লিজ নেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ বিদেশি কেউ গুজরাতির কাছ থেকে বাড়ি কিনতে পারলেও গুজরাতি মুসলিমদের সেই অধিকার নেই।

সুতরাং, এটা বলাই যায় যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। যদিও এ যুগে দুই দেশ সম্পূর্ণ বিপরীত দিশায় এগচ্ছে। যে পাকিস্তান ধর্মের দোহাই দিয়ে তৈরি হয়েছিল, তারা এখন ধর্মনিরপেক্ষতা হাত ধরছে। আর ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আউড়ে ‘মহাত্মা’ ভারত ভাইচারা ভুলে সাম্প্রদায়িকতার খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team