নয়াদিল্লি: তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে দল। কিন্তু তিনি বিধায়ক নন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হতে হবে। মানিক সাহাকে বিধায়ক করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ত্রিপুরা বিজেপি। অতি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভার উপনির্বাচন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে বরদৌলি সদর থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই বরদৌলি থেকেই ২০১৮-তে জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন আশিসকুমার সাহা। যিনি কয়েক মাস আগেই সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে বিজেপি ছাড়েন। সুদীপ এবং আশিস পরে কংগ্রেসে যোগ গিয়েছেন।
বিজেপি আগরতলা থেকে প্রার্থী করেছে অশোক সিনহাকে। এই আগরতলায় ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন সুদীপ রায়বর্মন। মাস কয়েক আগে বিপ্লব দেবকে নিশানা করে সুদীপ বিজেপি ছাড়েন। যোগ দেন তাঁর প্রথম দল কংগ্রেসে। স্বাভাবিক ভাবেই আগরতলা এবং বরদৌলি দুটি জায়গাতেই দুর্গ রক্ষার লড়াই বিজেপির সামনে। দলের অন্দরে বিপ্লবে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এখন মানিক সাহা কতটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারেন, সেটাই দেখার।
ত্রিপুরার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের উপনির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিন রাজ্যের উপনির্বাচন বিজেপির কাছে নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। ২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের কাছেও এই উপনির্বাচন একপ্রকার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
আরও পড়ুন: Bhupinder Hooda: দলে আছেন কেন, হরিয়ানায় কুলদীপকে খোঁচা ভূপিন্দরের