চণ্ডীগড়: রাজ্যসভা ভোটের আগে হরিয়ানার তিন বিধায়ককে নিয়ে রক্তচাপ বাড়ছে কংগ্রেসের৷ একদিন আগে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই বলেছিলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ঠিক করবেন ভোট দেবেন কি না৷ তাঁর সেই কথার রেশ ধরেই শনিবার কুলদীপকে জবাব দিলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা৷ তিনি বলেন, ‘দলের প্রতি আনুগত্য না থাকলে কারও পার্টিতে থাকার অধিকার নেই৷’
১০ জুন রাজ্যসভার ভোট৷ হরিয়ানায় দুটি খালি আসনের একটিতে কংগ্রেস এবং একটিতে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে৷ রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন৷ তাঁকে জিততে হলে ৩১ জন দলীয় বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন৷ ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় কংগ্রেসের ৩১ জন বিধায়কই আছেন৷ কিন্তু দলের চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছেন কুলদীপ বিষ্ণোই এবং আরও দুই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক৷ রাজ্যসভা ভোটের আগে বিজেপি যাতে দলে ভাঙন ধরাতে না পারে সেই জন্য সমস্ত বিধায়ককে ছত্তীশগড়ের রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ যাননি কেবল ওই তিন বিক্ষুব্ধ৷ গতকাল বিষ্ণোই বলেন, ‘কারও চাপে ভোট দেব না৷ অন্তরাত্মা যা বলবে তাই করব৷’ এরপরই তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা তৈরি হয়৷ যদিও তা খারিজ করে দেন বিষ্ণোই৷ সূত্রের খবর, হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চেয়েছিলেন তিনি৷ সেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত হুডা ঘনিষ্ঠ উদয় ভানকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়৷ সেই থেকে দলের উপর ক্ষুব্ধ বিষ্ণোই৷
অন্যদিকে রাজস্থানেও রাজ্যসভা ভোটের আগে দলীয় বিধায়কদের রিসর্টে রাখার ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস৷ কিন্তু উদয়পুরের রিসর্টে ২৭ জন বিধায়ককে দেখা না যাওয়ায় ফিসফাস শুরু হয়ে যায়৷ যদিও কংগ্রেস শিবির থেকে জানানো হয়, অনেক মন্ত্রীই রিসর্টে পৌঁছতে পারেননি৷ জয়পুরে তাঁদের কিছু জরুরি কাজ রয়েছে৷ বাকিরা ব্যক্তিগত কাজ মিটিয়ে রিসর্টে পৌঁছবেন৷ কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের বিধায়করা এককাট্টাই রয়েছেন৷
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: পরপর মেয়ের জন্ম, উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় ফেলে মার মহিলাকে