ঝাড়গ্রাম: পাকা রাস্তার দাবিতে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে টানা ৩০ ঘন্টা অবরোধ চলল গ্রামবাসীর। দাবি ছিল, জেলাশাসককে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের দফতরের এক আধিকারিক বিক্ষোভস্থলে গিয়ে পাকা রাস্তার আশ্বাস দেন। তারপর শনিবার বিকেলে অবরোধ ওঠে।
ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের প্ৰহরাজপুর থেকে ধোবাশোল পর্যন্ত ৫ কিমি পাকা রাস্তা করতে হবে। এই দাবিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে পথ অবরোধ শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। শনিবার পর্যন্ত টানা প্রায় ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অবরোধ চলে। সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন অবরোধ তোলার অনুরোধ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ ছিল সমস্ত যানবাহন চলাচল। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, জেলাশাসক ঘটনাস্থলে এসে প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তাঁরা অবরোধ তুলবেন।
গ্রামবাসীরা জানান, একবছর আগে একই দাবিতে ওই এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই সময় সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও মিঠুন মজুমদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ওই রাস্তা পাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেননি। তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, পাকা রাস্তার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পথ অবরোধ চলবে বলে গ্রামবাসীরা সরাসরি জানিয়ে দেন। তাঁরা স্পষ্ট বলেন, জেলাশাসক ঘটনাস্থলে এসে কতদিনের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন তা জানালে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: PM Modi: আট বছরে এমন কোনও কাজ করিনি যাতে মাথা নীচু হয়: মোদি
অবরোধের জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই সমস্যায় পড়েন ওই এলাকার মানুষরা। সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস প্রতিশ্রুতি দিলেও অবরোধ ওঠে না। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের দফতরের এক আধিকারিক বিক্ষোভস্থলে গিয়ে পাকা রাস্তার আশ্বাস দেন। তারপর শনিবার বিকেলে অবরোধ ওঠে।