গরমকালে ত্বকের ঘরোয়া পরিচর্যায় ক্লে ফেস মাস্ক দারুণ হিট। ক্লে ফেস মাস্ক বললেই যে নামটা প্রথমে মাথায় আসে তা হল মুলতানি মাটির তৈরি ফেস প্যাক। ত্বকের ধুলো ময়লা ও বাড়তি তেল শুষে নিয়ে নিমেষে ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে মুলতানি মাটি। তবে সংবেদনশীল ত্বক যাদের তাদের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি ত্বকের উপকারের বদল ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এই সব ক্ষেত্রে মুলতানি মাটির বদলে ব্যবহার করতে পারেন কেওলিন ক্লে।
কেওলিন ক্লে-র বিশেষত্ব
কেওলিন ক্লে বা চায়না ক্লে, মূলত সাদা রঙয়ের হলেও কেওলিন ক্লে গোলাপি, লাল ও হলুদ রঙয়ে পাওয়া যায়। যাবতীয় ক্লে-র মধ্যে এই কেওলিন ক্লে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই যাদের সংবেদনশীল ত্বক তারা হল্দেটে রঙয়ের কেওলিন ব্যবহার করতে পারেন। আর লাল ও গোলাপি রঙয়ের ক্লে দিয়ে ব্রণ প্রবণ, খুবই তৈলাক্ত ও ভীষণ সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কেওলিনের অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে । কেওলিন ত্বকের ময়লা, বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি ত্বক উজ্জীবিত করে তোলে ও দাগছোপ মুক্ত করে।
সব ধরনের ত্বকের জন্য কেওলিনের এই মাস্ক বেশ কার্যকরী-
একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা চামচ কেওলিন মাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মুখে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। অল্প ব্রণ থাকলে, এই মিশ্রণে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কেওলিন মাস্ক
যাদের শুষ্ক ত্বক তারা ২ চা চামচ কেওলিন পাউডারের সাথে ১ চা চামচ মধু এবং ১চা চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য কেওলিন মাস্ক
ত্বক ব্রণ প্রবণ হলে ২ চা চামচ কেওলিন পাউডার, ২ চা চামচ গোলাপ জল, ১/২ চা চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চিমটি হলুদ পাত্রে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।