কলকাতাঃ বন্ধু মৃত্যুর শোক নাকি না-পাওয়ার অবসাদ―মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর মৃত্যুর কারণ কী?
বড় পর্দাই হোক বা ছোট পর্দা নিজেকে হাজারও দর্শকের সামনে তুলে ধরার হাতছানিতে প্রতিদিন অসংখ্য ছেলেমেয়ে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের সামনে এসে দাঁড়ায়। অগণিত দর্শকের ভালোবাসা, খ্যাতির মোহ তাঁদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। এই মায়াজাল থেকে কিছুতেই মনকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না বলে জানালেন, বিশিষ্ট মনোস্ততত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কোনও ক্ষেত্রে এটাও ঘটতে পারে যে, বিখ্যাত হতে না পারার ব্যার্থতা ঢাকতে বিকল্প কোনও পন্থা অবলম্বন করা। যাতে এক সঙ্গে অনেক লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
আমেরিকায় একের পর এক বন্দুকবাজের গুলি চালানোর ঘটনার দৃষ্টান্ত টেনে মনোবিদরা জানালেন, পূর্বের কোনও মানসিক আঘাত, হতাশা, প্রতিশোধ এমনকি বিখ্যাত হওয়ার অদম্য বাসনাও এ ধরনের কাজ করতে মনকে সঞ্চালিত করে। যারা মনের এই অবচেতনে থাকা অস্তিত্বটিকে বুঝতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রেই বিপদ ঘটে।
মঞ্জুষা নিয়োগীর মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিস, পড়শি ও তাঁর মায়ের বক্তব্যেও জানা যাচ্ছে, বিখ্যাত হওয়ার জন্যই তিনি এই পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন। যখন একটু একটু করে পরিচিতি লাভ করছিলেন তখনই হাতে আসে অনেক টাকা। মনোবিদদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই রোজগারই প্রাথমিকভাবে নিজেকে উচ্চ সীমায় নিয়ে যায়। অভিনয়ের পেশার সঙ্গে যুক্ত বিখ্যাতদের সঙ্গে মেলামেশা করার প্রবণতাও বাড়ে চার গুন। তখন চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য রক্ষা করতে তালজ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানুষ। মঞ্জুষার ক্ষেত্রেও সেরকম কিছু ঘটেছিল কি না তা পুলিসি তদন্তের বিষয়।
আরও পড়ুন Salt lake Suicide: সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা রেখে আত্মঘাতী মা-মেয়ে
তবে আপাতত যেটুকু জানা গিয়েছে, পল্লবী, বিদিশা হোক বা মঞ্জুষা সকলেরই অভিজাত সমাজে মেলামেশা করার উপযুক্ত ফ্ল্যাট হোক বা ঘড়ি, গাড়ি, মোবাইল অধিকাংশই ঋণের টাকায় কেনা। মাসিক কিস্তি মেটাতে বিপুল পরিমাণ খরচ হয় এতে। সেক্ষেত্রেও মনের অপর বিরাট চাপ পড়ে। তখন আরও অনেক টাকা রোজগারের নেশায় দিবারাত্র পরিশ্রম করতে হয়। সেই চাপও অনেকে নিতে পারেন না।