কলকাতাঃ সাত সকালে সল্টলেকের সিডি ১৭৪ নম্বর বাড়িতে দেখা গেল জলে ভেসে যাচ্ছে। খোঁজ নিতে গিয়ে পড়শিরা জানতে পারলেন ওই বাড়িরই তিন তলায় আত্মঘাতী হয়েছেন মা ও মেয়ে। ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় মৃত সুপর্ণা ঘোষের স্বামীর। তার পর থেকেই মা ও মেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। পড়শিদের কথা অনুযায়ী মেয়ে স্নেহা একটি বিদেশি কোম্পানিতে ভালো চাকরি করতেন। তাঁর বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু ডিভোর্সের পর থেকে মায়ের কাছেই থাকতেন।
খাটে মেয়ের দেহ যখন উদ্ধার হয় তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেড়িয়েছিল। মেঝেতে উপুর হয়ে পড়েছিলেন মা সুপর্ণা। সুইসাইড নোট তাঁরা দু’জনেই বাবার মৃত্যুর আঘাতের কথা লিখে গিয়েছেন। সুপর্ণার স্বামী ব্যবসা করতেন। লকডাউনের পর থেকে তাঁর ব্যবসায় খুবই মন্দা এসেছিল। আর্থিক সমস্যাতেও পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। এটাই কোনও ভাবে মেনে নিতে পারেননি সুপর্ণা ও স্নেহা।
এক পড়শি এও জানালেন, তাঁদের সৎৎকারের জন্য কুড়ি হাজার নগদ টাকা রেখে গিয়েছেন সুপর্ণা। তার সঙ্গেই তাঁর স্বামী ও তাঁদের দু’জনের আধার ও প্যান কার্ডও বের করে রেখে গিয়েছেন তাঁরা।