কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পোষ্য নিয়ে দিল্লির স্টেডিয়ামে ‘ইভনিং ওয়াক’ বিতর্কে দুই আমলাকে সরিয়ে দিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণ বন্ধ করিয়ে এই দুই আমলা পোষ্য নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যে বেলায় হাঁটতেন। এই দুই আমলার নির্দেশেই স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হত। সঞ্জীব খারিওয়ার এবং রিঙ্কু দুগ্গা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এঁদের মধ্যে সঞ্জীব খারিওয়ারকে দিল্লি থেকে সরিয়ে লাদাখে বদলি করা হয়েছে। রিঙ্কু দুগ্গাকে দিল্লি থেকে অরুণাচল প্রদেশে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের জন্য ওই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়৷ অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধাই রয়েছে সেখানে৷ তাই জাতীয় ও রাজ্যস্তরের অ্যাথলিট ও ফুটবলারদের অনুশীলনের অন্যতম পছন্দের জায়গা হয়ে ওঠে স্টেডিয়ামটি৷ কিন্তু অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরে অ্যাথলিটদের সন্ধে ৭টার মধ্যে স্টেডিয়াম খালি করার অলিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অ্যাথলিট বলেন, ‘আগে আমরা রাত ৮টা সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুশীলন করতাম৷ কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে সন্ধে ৭টার মধ্যে স্টেডিয়াম খালি করে দিতে হচ্ছে৷ পরে জানতে পারি, একজন অফিসার সন্ধে সাতটার পর কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে আসেন৷ কিন্তু এর জেরে আমাদের প্র্যাকটিসে সমস্যা হচ্ছে৷’
এ ব্যাপারে স্টেডিয়ামের প্রশাসক অজিত চৌধুরির বক্তব্য, প্র্যাকটিসের সময় বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷ কিন্তু তীব্র গরমের জন্য অ্যাথলিটদের ৭টা পর্যন্ত অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হয়৷ তবে সাতটার পর একজন আইএএস অফিসার পোষ্যকে নিয়ে সান্ধ্যভ্রমণে আসেন সেটা তিনি জানেন বলেই দাবি করেন৷ অজিত চৌধুরি বলেন, ‘সব সরকারি অফিস সাতটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়৷ আমিও সাতটার পর চলে যাই৷ তাই এ ব্যাপারে কিছু জানি না৷’ ততদিনে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দৌলতে পোষ্যকে নিয়ে আইএএস অফিসারের অ্যাথলিটদের ট্র্যাকে হাঁটাহাঁটির ছবি ভাইরাল হয়ে যায়৷
আরও পড়ুন – Karnataka Congress President: আর্থিক তছরুপ মামলা, কর্নাটকের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিট