কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি (Karnataka Congress president) ডি কে শিবকুমারের (Shivakumar) বিরুদ্ধে চার্জশিট (ED chargesheet) দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট বা ইডি। ২০১৮ সালের একটি আর্থিক তছরুপের (money-laundering case) মামলায় শিবকুমারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে। কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা এই একই মামলায় আপাতত জামিনে মুক্ত আছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে ইডি শিবকুমারকে গ্রেফতার করে। আর্থিক তছরুপের এই একই মামলায় দিল্লির কর্নাটক ভবনের কর্মী হুমানথাইয়া এবং আরও কয়েক জন ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। করফাঁকি (tax evasion) এবং হাওয়ালা লেনদেন (hawala dealings) মামলায় আয়কর বিভাগ (Income Tax department) প্রথমে শিবকুমার এবং অভিযুক্ত আরও বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট নতুন করে মামলা দায়ের করে।
শিবকুমারের দাবি তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন। এর আগেও এই কংগ্রেস নেতা তিনি নিরাপরাধ বলে দাবি করেন। ২০১৭ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন শিবকুমার। গুজরাটের ৪৪ জন কংগ্রেস বিধায়ককে তিনি কর্নাটকের রিসর্টে লুকিয়ে রাখেন। শিবকুমারের দাবি, এরপরেই রাজনৈতিক রোষের শিকার হন তিনি। আয়কর তল্লাশি চলে, ইডি-ও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন- Moody’s: মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় কমল উন্নয়নের গতি, জানাল ‘মুডিজ’
এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট বা ইডি-র রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ২০২০ সালে সিবিআই শিবকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলাটি আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির মামলা। ইডি-র বক্তব্য, পরপর দু’বার মন্ত্রী থাকাকালীন কংগ্রেস নেতা শিবকুমারের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কর্নাটক সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকেও ইডি তাদের আতসকাচের তলায় নিয়ে আসে। শিবকুমার সে সময় নগরোন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। প্রকল্পগুলিও ওই দু’টি দফতরের।