ধূপগুড়ি: জম্মুর সুড়ঙ্গে ধসে আটকে মৃত পাঁচ শ্রমিকের দেহ ফিরছে ধূপগুড়িতে। বিমানের বদলে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হচ্ছে দেহ। রবিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় ধূপগুড়ির উদ্দেশে। মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে শ্রমিকদের দেহ পৌঁছবে বাড়িতে। ওই শ্রমিকরা যে সংস্থার জন্য কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
রবিবার বিমানে করে ওই পাঁচ শ্রমিকের দেহ নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে দেহ রওনা দেয় ধূপগুড়িতে। নিহতদের পরিবারের পাশে সবরকম সাহায্য নিয়ে প্রস্তুত ধূপগুড়ির প্রশাসন।
সুড়ঙ্গে আটকে মৃত্যু হয়েছে সুধীর রায় (৩১), পরিমল রায় (৩৫), দীপক রায় (৩০), যাদব রায় (২৩) এবং গৌতম রায়ের (২২)৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম উদ্ধার হয় সুধীরের দেহ৷ তার ২৪ ঘণ্টা পর বাকি চারজনের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল৷
আরও পড়ুন: Delhi Rain: প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা, ব্যাহত উড়ান পরিষেবাও
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামবন সুড়ঙ্গে ধস নামে৷ তখন সেখানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ ধসের জেরে ভিতরে আটকে পড়েন তাঁরা৷ এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবর পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়ে পরিবার৷ গ্রামের মানুষ ও আত্মীয় স্বজনরা নিখোঁজদের বাড়িতে ভিড় জমান৷ তারপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ধ্বংসাবশেষ থেকে সুধীরের দেহ পাওয়া যায়৷ বাকিদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছিলেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়৷ জানা গিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কাজের সন্ধানে ধূপগুড়ি থেকে ১০-১২ জনের একটি দল জম্মু ও কাশ্মীর যায়৷ তারপরই মর্মান্তিক সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হল৷