মেদিনীপুর: করোনা সংক্রমণে রাজ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর৷ আগের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও গত দুসপ্তাহ ধরে পুনরায় বেড়েছে সংক্রমন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে প্রশাসনের কর্তারা জেলাকে ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনে ভাগ করেছে। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। এমনকী রাতে বিভিন্ন জোনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ সুপার ও জেলা শাসক৷ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ৷
আরও পড়ুন- বিজেপিকে ভাঙা অত সহজ নয় : দিলীপ
প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে জেলাতে ৮০৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন৷ এরমধ্যে ১৬৯ জন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেদিনীপুর শহরেই সংক্রমিত ৯০০১ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের৷ গোটা জেলা হিসেব করলে জেলায় গড় সাপ্তাহিক সংক্রমন প্রায় ৮০০৷ ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা৷ সেই কারণেই বুধবার বৈঠক করে জেলাতে ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে৷ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত৷ এই বিষয়ে জেলা শাসক ডাঃ রশ্মী কমল জানিয়েছেন, ‘আমরা সংক্রমনটা আটকাতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছি। সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচার করে। জেলাতে রোজ আড়াই থেকে তিন হাজার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। কমিউনিটি টেষ্ট ও গ্রামে গিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংক্রমণের গুরুত্ব অনুযায়ী জোন ভাগ করা হয়েছে।
এই কন্টেনমেন্ট জোন ভাগ করার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, কোন ভিত্তিতে হঠাৎ করে এই জোন ভাগ তা পরিষ্কার নয়। এটা খাম খেয়ালী বা লটারি করার মতো হয়েছে। প্রশাসনের উচিত মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে সমস্ত জন প্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।