হঠাৎই বাংলার ফুটবলে গণ্ডগোল। আই এফ এ-র সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তকে চিঠি দিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জয়দীপ জানিয়েছেন তাঁর শরীর খারাপ। পাশাপাশি তিনি পারিবারিক কারণের কথাও বলেছেন। তবে এখনই তিনি সরে যাচ্ছেন না। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আগামি ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি আই এফ এ সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর পদত্যাগ পত্র যেন ১৭ জুন থেকে কার্যকরী হয়। আই এফ এ-র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত অবশ্য এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
জয়দীপ আই এফ এ-র সচিব হয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম টার্ম শেষ হওয়ার কথা সামনের বছরের জুন মাসে। তারই এক বছর আগে পদত্যাগ করায় আই এফ এ মহলে বিস্ময়। বৃহস্পতিবারই সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স হওয়া বাংলা দলের ফুটবলার, কোচদের লাঞ্চে আপ্যায়িত করে মোহনবাগান ক্লাব। ফুটবলারদের সঙ্গে সেখানে ভোজ সারেন জয়দীপও। তার পর সন্ধ্যাবেলায় তাঁর পদত্যাগে বিভ্রান্ত ময়দান। তবে আই এফ এ-র একটা মহল জানাচ্ছে, ক্রমশ আই এফ এ-তে একা হয়ে গেছেন জয়দীপ। তাঁর মনে হয়েছে, এই ভাবে তিনি কাজ করতে পারবেন না। তাই মেয়াদ ফুরোবার আগেই চলে যেতে চাইছেন। কিছুদিন আগেই আই এফ এ-র কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অনির্বান দত্ত, যিনি প্রাক্তন সচিব প্রয়াত প্রদ্যোত দত্তের বড় ছেলে। প্রথম দিকে জয়দীপ চাননি, অনির্বান কোষাধ্যক্ষ পদে আসুন। তাঁর প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন সহসচিব রবীন ঘোষ। শেষ পর্যন্ত অনির্বানের দিকে পাল্লা ভারি দেখে রবীন আর নির্বাচনে লড়েননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোষাধ্যক্ষ হয়ে যান অনির্বান। কিন্তু তার সঙ্গে জয়দীপের মনোমালিন্যের জন্য তিনি পদত্যাগ করলেন এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তবে পদত্যাগ পত্রে জয়দীপ যে দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন সেই দুটিই নেহাতই কথার কথা বলে মনে করছে আই এফ এ-র একটা বৃ্হৎ অংশ। এর আগে ২০২০ সালের গোড়ায় জয়দীপ একবার পদত্যাগ করেছিলেন। পরে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। এবার কী হয় তাই এখন দেখার।