চণ্ডীগড়: ফেসবুক লাইভে কংগ্রেসকে ‘গুডবাই’ জানিয়েছিলেন আগেই৷ এবার দলে ফেরার রাস্তা বন্ধ করে বিজেপিতে যোগ দিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর৷ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি৷ বিজেপিতে যোগ দিয়েই কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন সুনীল জাখর৷ বলেন, ‘ব্যক্তিগত রাগ থেকে কংগ্রেস ছাড়িনি৷ কংগ্রেস জাত-পাতকে প্রশয় দেয়৷ কিন্তু বিজেপি সবাইকে সমান চোখে দেখে৷ তাই কংগ্রেসের সঙ্গে আমার ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম’৷
কংগ্রেসের সঙ্গে সুনীল জাখরের পরিবারের পাঁচ দশকের পুরনো সম্পর্ক৷ তিন প্রজন্ম নিবিড়ভাবে জড়িত ছিল শতাব্দী প্রাচীন দলের সঙ্গে৷ সুনীল জাখরের বাবা বলরাম জাখর আটের দশকে লোকসভার অধ্যক্ষ ছিলেন৷ ইন্দিরা ঘনিষ্ঠ বলরাম পরবর্তীকালে নরসিমা রাও সরকারের আমলে কেন্দ্রের কৃষিমন্ত্রী হন৷ বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কংগ্রেসে যোগ দেন সুনীল৷ দলীয় টিকিটে নির্বাচনে জিতে কখনও বিধায়ক কখনও সাংসদ নির্বাচিত হন৷
সেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন সুনীল৷ এ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা৷ এ দিন তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে তিন প্রজন্ম ধরে আমার পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত৷ কংগ্রেসের সঙ্গে আমারই ৫০ বছরের সম্পর্ক৷ আজ সেই পাঁচ দশক পুরনো সম্পর্ক ছিন্ন করছি৷ দলকে আমি পরিবার মনে করতাম৷’ দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, জাত-পাতের ভিত্তিতে পঞ্জাবে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছিল৷ কিন্তু সুনীল জাখরকে দলের পদ থেকে সরানো হলেও তাঁর মুখ বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন৷
পঞ্জাব কংগ্রেসের দলিত নেতা চরণজিৎ চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে সুনীল জাখর ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন৷ যে কারণে তিনি শো-কজের মুখে পড়েন৷ কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন৷ তারপর এদিন যোগ দেন বিজেপিতে৷ সূত্রের খবর, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে বিজেপি৷ পঞ্জাবে দলের সংগঠনে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷ হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে কাজে লাগাতে পারে বিজেপি৷
আরও পড়ুন: AIIMS Job Scam: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুপারিশে পরীক্ষা ছাড়াই কল্যাণী এইমসে চাকরি বিজেপির বিধায়কের মেয়ের