কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা চলাকালীনই কৃষ্ণজন্মভূমির বিতর্কিত জমি নিয়ে আবেদনের অনুমতি দিল আদালত। মথুরা আদালত বৃহস্পতিবার এই অনুমতি দিয়েছে। আগামী ১৯ মে পরবর্তী শুনানি হবে। মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি লাগোয়া শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানোর আর্জি জানিয়ে আবেদন করা হয় আদালতে। কৃষ্ণের জন্মভূমিতে সপ্তদশ শতকে এই শাহি ইদগাহ মসজিদটি তৈরি হয় বলে আবেদনে জানানো হয়েছে। মথুরার এই কৃষ্ণজন্মভূমি দীর্ঘদিন ধরে কাটরা কেশবদেব মন্দির হিসেবে হিন্দুদের কাছে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র বলে বিখ্যাত। প্রতিদিন এখানে লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। বিশেষত জন্মাষ্টমী ও হোলিতে এখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: নিজাম প্যালেস থেকে এসএসকেএমে অনুব্রত মণ্ডল
বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এর আগেও ৯টি পৃথক আবেদন জানিয়েছিল মথুরা আদালতে। জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো এক্ষেত্রেও আদালত মসজিদ চত্বরে ভিডিয়োগ্রাফির অনুমতি দিয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে। হিন্দুদের তরফে আবেদনকারী মণীশ যাদব, মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং এবং দীনেশ শর্মা আদালতের কাছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে আদালত নিযুক্ত আইনজীবী কমিশনার কর্তৃক ভিডিয়োগ্রাফির আর্জি জানিয়েছেন। আরও একটি আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওখান থেকে মসজিদ সরিয়ে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, মসজিদ কর্তৃপক্ষের দখলে থাকা ১৩.৩৭ একর জমি হিন্দুদের ফেরত দিতে হবে। সেখানে নতুন করে মন্দির গড়া হবে। হিন্দুদের দাবি অনুযায়ী, ওই জমিতে কৃষ্ণজন্মভূমি ছিল। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯-৭০ সাল নাগাদ যা ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
এর আগে ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ মথুরা আদালতকে কৃষ্ণজন্মভূমি-ইদগাহ মসজিদ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা ৪ মাসের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। জেলার সরকারি আইনজীবী (দেওয়ানি) সঞ্জয় গৌর জানান, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দায়রা বিচারক রাজীব ভারতী ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন।