কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব সরাসরি কলকাতায় পড়বে কি না, সে ব্যাপারে আলিপুর আবহাওয়া অফিস পরিষ্কার কোনও বার্তা না দিলেও সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কলকাতা পুরসভা। জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবার থেকে বাতিল করা হয়েছে পুরসভার সব কর্মীর ছুটি। সোমবার ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও পুরসভায় জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এক একজন মেয়র পারিষদকে এক একটি বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমও। তার নম্বর ০৩৩- ২২৮৬১২১২/১৩১৩/১৪১৪
অশনির আগেই এদিন এক পশলা ভারী বৃষ্টি হয়ে যায় শহরে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। ৬৩ এবং ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঝড়ের কারণে দুটি বড় গাছ পড়ে যায়। পুরসভা অবশ্য দ্রুত গাছদুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বৃষ্টিতে এদিন শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং জানান, এদিন সব পাম্পিং সচল ছিল। তাই দ্রুত জল নেমে গিয়েছে।
এদিনের জরুরি বৈঠক শেষে বিনোদ কুমার জানান, অশনি নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেনারেটর মজুত রাখা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে CESC-কেও। আমফানের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে CESC-কে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আমফানের তাণ্ডবে গোটা কলকাতা জুড়েই লণ্ডভণ্ড অবস্থা সৃষ্টির কারণে বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল ২০২০ সালে ২০ মে। বিস্তীর্ণ এলাকায় ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। তাকে ঘিরে নানা ধরণের অশান্তিও ঘটেছে। এইসব কারণেই CESC-কে আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বিনোদ কুমার জানান, বিভিন্ন বরোতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দরকার হলে সেনাবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হবে।