কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্কঃ ঠাকুর রামকৃষ্ণ, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো পথ এবং আদর্শে এগিয়ে চলাই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে থেকেছেন পিয়ারলেস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীলকান্তি রায়। রবিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পরে, সোমবার সকালে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সুনীলবাবুর নশ্বর দেহ নিয়ে আসা হয় বেলুড় মঠে। রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের সামনে সুনীলকান্তিবাবুর দেহ রেখে তাতে মাল্যদান করেন প্রবীণ সন্ন্যাসীরা। মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তাঁর শেষ যাত্রার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
সুনীলবাবুর পরিবারের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। স্বয়ং মা সারদার শিষ্য ছিলেন সুনীল বাবুর ঠাকুরদা। স্বামী শিবানন্দের কাছে দীক্ষা লাভ করেছিলেন সুনীলবাবুর বাবা। আর তিনি নিজে স্বামী বীরেশ্বরানন্দের দীক্ষিত ছিলেন। স্বামী আত্মস্থানন্দের সঙ্গে সুনীলবাবুর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। গত জানুয়ারি থেকে কিডনি ও সুগারের অসুখে ভুগছেন তিনি। ডায়ালিসিস চলছিল।
তাঁর মৃত্যু অপূরনীয় ক্ষতি বলে জানিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। শোক প্রকাশ করে তিনি জানান, বাংলার বিখ্যাত শিল্পদ্যোগীদের মধ্যে সুনীলকান্তি রায় ছিলেন উজ্বলতম। এ দিন তাঁর ছেলে জয়ন্ত রায় জানান, সম্প্রতি পিয়ারলেস হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ‘সুনীলকান্তি রায় অঙ্কোলজি সার্ভিসেস’-প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সুনীলবাবুর সেই স্বপ্ন দ্রুত শেষ করা হবে।
আরও পড়ুন Jhalda Murder: তপন কান্দু খুনের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ঝালদা থানার আইসিকে তলব সিবিআইয়ের