কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দুদিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফের ৩টি অত্যাধুনিক ভাসমান আউটপোস্ট উদ্বোধন করবেন তিনি। হিঙ্গলগঞ্জে নদীপথে নজরদারি চালিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করতেই ওই ভাসমান আউটপোস্ট তৈরি করা হয়েছে।
ঠিক কি এই ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট?
প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর ২০১৯ সালে মোট ৯টি ভাসমান আউটপোস্টের অর্ডার দিয়েছিল কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে। তিন ক্ষেপে তিনটি তিনটি করে এই ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট (ফ্লোটিং বর্ডার আউটপোস্ট) সরবরাহের কথা দিয়েছিল কোচিন শিপইয়ার্ড। তার মধ্যে চলতি বছরের ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনটি অত্যাধুনিক জাহাজ বিএসএফের হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। সেই তিনটি তরীর নাম সীমা প্রহরী নর্মদা, সীমা প্রহরী কাবেরী ও সীমা প্রহরী সুতলেজ। এই জাহাজ গুলি ৪৬ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওড়া। চারটি পেট্রোলিং বা স্পিড বোট বহনে সক্ষম এই জাহাজগুলি।
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের বড্ড অভাব। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে কখনও বসিরহাট থেকে, কখনও টাকি থেকে পানীয় জল ট্যাঙ্কে করে ভরে নিয়ে গিয়ে বিএসএফের বিভিন্ন আউটপোস্ট সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই নতুন ভাসমান তরী আসার পর সেই সমস্যার সমাধান হল। ১০০ টন ওজন পর্যন্ত জল নিয়ে যেতে পারবে ওই জাহাজ। পাশাপাশি ২৫ টন ওজনের ডিজেল ও ১৫ টনের পেট্রোলও বহন করতে সক্ষম এই তরী। শুধু তাই নয়, মোট ৩৮ জন জওয়ান নিয়ে সুন্দরবনের এক জল সীমান্ত থেকে আরেক জল সীমান্তে পাড়ি দিতে পারবে। এই তিন জাহাজ একটি একটি বিএসএফের আউটপোস্ট হবে। এই তরণীর মধ্যে রয়েছে থাকার জন্য ঘর, জিম, শৌচালয়, এমনকি রান্না করার জায়গাও। এই জাহাজ গুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮ নট প্রতি ঘন্টা। একটি জাহাজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৯ (৩৮.৭১) কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: South 24 Pargana: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে অপমান, আত্মঘাতী কিশোরী
প্রাথমিক পর্যায়ে সুন্দরবন তিনটি ভাসমান আউটপোস্ট পেলেও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরো তিনটি তরী পাবে। সে ক্ষেত্রে সুন্দরবনের মোট ভাসমান বর্ডার আউটপোস্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬। এই মুহূর্তে সারাদেশে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর কাছে মোট ভাসমান বর্ডার আউট পোষ্টের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। এই তিনটি জাহাজ যোগ হলে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে বারোয়।