বহরমপুর: বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীর খুনের ঘটনায় ধৃত সুশান্ত চৌধুরীর ফিঙ্গার প্রিণ্ট নিতে বহরমপুর থানায় এল সিআইডির প্রতিনিধিদল। সোমবার রাতে খুনের সময় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র থেকে ফিঙ্গার প্রিণ্ট নিয়ে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সোমবার রাতে বহরমপুরের গোরাবাজারে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। তিনি স্থানীয় একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। তাঁর সঙ্গে ধৃত সুশান্তর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। সম্প্রতি কোনও কারণে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটে। তারই জেরে ওই ঘটনা, এমনটাই অনুমান পুলিসের।
পুলিস সূত্রের খবর, ওই রাতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক দূর থেকে সুতপাকে নৃশংসভাবে কোপাতে দেখেন। দু-একজন কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তাদের হুমকি দেয় সুশান্ত। সেই ভয়ে তাঁরা পিছিয়ে আসেন। সুতপাকে বারবার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে সে। এমনকি রক্তাক্ত অবস্থায় তার পেটে একাধিকবার লাথিও মেরেছে। সুশান্ত পকেট থেকে মোবাইল বের করে তা ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটা পাঁচিল টপকে পালায়। রাতেই সে ক্যাব ভাড়া করে মালদহে যাচ্ছিল। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, সে একাধিকবার ক্যাব পাল্টেছে। স্থানীয় কয়েকজনই দূর থেকে গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো করে। তাতেই ওই নৃশংস দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
আরও পড়ুন: Maynaguri-Calcutta High Court: সিবিআই চাই না, হাইকোর্টেও জানিয়ে দিলেন ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার বাবা
জেলা পুলিস সুপার শবরী রাজকুমার বলেন, সুশান্ত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল।সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বহরমপুর এসেছিল বলে মনে কড়ছে তদন্তকারী দল।বহরমপুরের ওই মেসে এর আগেও সুশান্ত লুকিয়ে ঘুরে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়া চট করে সম্ভব নয়। তাছাড়া ধারালো চাকু ও জামা প্যান্ট নিয়ে এসেছিল সুশান্ত।সেসবই সুশান্তকে গ্রেফতারের সময় তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিস মনে করছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যানের কারণেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে সুশান্ত। সুতপার বাবাও স্বীকার করেছেন, প্রণয়ঘটিত কারণেই মেয়েকে খুন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: RBI Hikes Repo Rate: রেপো রেট বেড়ে ৪.৪০ শতাংশ, বাড়তে পারে EMI-এর বোঝা