ঝালদা: ঝালদায় তপন কান্দুর খুনের ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই আদালতে জবানবন্দি দিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই সুভাষই প্রথম ঝালদা থানায় খুনের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিস মামলা শুরু করে। যদিও সুভাষের অভিযোগ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনার এক দিন পর ১৫ মার্চ ঝালদা শহরের আনন্দবাজারের বাসিন্দা পৌর কর্মী সুভাষ গড়াই একটি লিখিত অভিযোগ করেন। প্রশ্ন উঠেছে, এক দিন পর তিনি অভিযোগ করলেন কেন।
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা অবশ্য ১৪ মার্চ ঘটনার দিনই পুলিসে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু পুলিস সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গত ১৯ মার্চ পূর্ণিমা জেলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন। বুধবার সুভাষ গড়াইও আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপককে সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছে।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Madhabi Mukherjee: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।