হাওড়া: ১৮৯৭ সালের ১ মে প্রতিষ্ঠিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন৷ স্বামী বিবেকানন্দের হাতে প্রতিষ্ঠিত মিশন আজ ১২৫ বছর পূর্ণ করল৷ এখনও অনেক বছর পথ চলা বাকি৷ এই উপলক্ষে বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ জানান, স্বামীজি বলেছিলেন বেলুড় মঠ ১৫০০ বছর থাকবে৷ তাই আগামী ১৫০০ বছরে ভারতবর্ষের উত্থান হবে৷ তিনি বলেন, ‘১৫০০ বছরের সঙ্গে যদি মানুষের দিনের তুলনা করা হয় তাহলে তো সবে সূর্য উঠেছে৷ সকাল ৬টা বাজে৷ তাতেই উথালপাতাল হয়ে গিয়েছে৷ দুপুর ১২টা বাজতে দাও৷ এই ভারতবর্ষের মায়েরা, মানুষেরা সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে নেতা হবেন৷ শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বা সামরিক নেতা নয়৷ আধ্যাত্মিক নেতা হবেন৷ ভারতের সংস্কৃতি সবসময় পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে৷ বিবেকানন্দ ও শ্রীরামকৃষ্ণের আগমন ১৫০০ বছরের খোরাক দিয়ে গিয়েছে৷ আগামী ১৫০০ বছরে ভারতবর্ষের উত্থান হবে৷’
প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরের মধ্যে ভারতের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের কার্যকলাপ৷ এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে ৩১০টি কেন্দ্র আছে৷ রেজিস্টার্ড আশ্রমগুলির পাশাপাশি সমস্ত ভারতবর্ষে ১২০০টি আশ্রম রয়েছে যেগুলি ভক্তরা চালাচ্ছেন৷ সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, ‘বিবেকানন্দ প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে অনেকে হয়তো হতাশ৷ অনেকে মনে করেন বিবেকানন্দ এসেছিলেন কিন্তু কিছু তো হল না৷ হচ্ছে৷ কী হচ্ছে? আজকে মায়েদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আছেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন৷ পুরুষ প্রধানমন্ত্রী ও পুরুষ মুখ্যমন্ত্রীর চাইতে তাঁরা অনেক ক্ষমতাবান৷ মহিলারা তাদের মধ্যে যে ক্ষমতা ছিল তা উন্মেষ ঘটানোর পরিবেশ পায়নি৷ বিবেকানন্দ সেই পরিবেশ করে দিয়ে গিয়েছেন৷’
বেলুড় মঠের প্রসঙ্গ উঠলে কয়েকজন ব্যক্তিত্বের কথা উঠে আসবেই৷ যাঁরা প্রথমে মঠে গিয়েছিলেন সন্ন্যাসী হতে৷ কিন্তু মঠ থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ বলা হয় দেশের জন্য কাজ করতে৷ তাঁদের একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁরই ব্যক্তিগত উদ্যোগে রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি পালনে বেলুড় মঠকে সাহায্য করেছে ভারত সরকার৷ সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, ‘আমরা স্বয়ংসেবী আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান৷ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আন্দোলনের ১২৫ বছর হয়েছে৷ এটা আমাদের কাছে বিরাট ঘটনা৷ আমরা উদযাপন করছি৷ তবে ভারত সরকারের থেকে চিঠি পেয়ে আশ্চর্য হই৷ তাতে লেখা ভারত সরকার রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বর্ষপূর্তি উদযাপনে আগ্রহী৷ অথচ মিশন থেকে রাজ্য বা কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে কোনও সাহায্য চাওয়া হয়নি৷’ পরে মঠ কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: TMC Bankura: কার্যালয়ে আসেন না, সাইনবোর্ডে তৃণমূল বিধায়কের নাম মুছলেন দলেরই কর্মীরা