হাঁসখালি: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে ওই গ্রামের তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসে সিবিআই। গত ৪ এপ্রিল ঠিক কী ঘটেছিল, পরদিন শ্মশানে ঠিক কীভাবে দাহ করা হয়েছিল নাবালিকার দেহ, নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি কারা দিয়েছিল, সেই ঘটনায় ওই যুবকদের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রবিবার রাতেই গ্রামের তিন যুবককে কৃষ্ণনগরের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা উঠে এসেছে ওই তিন যুবকের নাম।
হাঁসখালির ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগেই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতো তাদের নিরাপত্তায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার থেকেই নির্যাতিতার বাড়িতে পাহারায় রয়েছে সশস্ত্র পুলিস। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদর কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত৷ যাতে তাঁরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন তাই বাড়িতে রয়েছেন ডাক্তার। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা চলছে তাঁদের।
হাঁসখালি-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে পাহারায় রয়েছে সশস্ত্র পুলিস। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালীর ছেলে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: Haridevpur Bomb Recovery: হরিদেবপুরে অটো ভর্তি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৪