‘সাঁঝের বাতি’ দুবছর পূর্ণ হওয়ার সময়েই দেখা গেল এই সিরিয়ালে নতুন গল্পের আমদানি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাঁঝের বাতি নতুন পৃথিবী’। এই গল্পের নায়কের চরিত্রের রয়েছেন শেখ রেজওয়ান রব্বানী। তাঁর ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই ধরা দিলেন ফোনে । জানালেন এই সিরিয়ালে তিনি ট্রিপিল চরিত্রে অভিনয় করছেন। আর্যমানের ভূমিকায় তাঁর চরিত্র দর্শকদের খুবই পছন্দ হয়েছে। গল্পের প্রয়োজনে একটি বিশেষ রহস্যময় চরিত্রে দেখা গেছে রেজওয়ানকে , যেখানে মল্লিক বাড়ির সকলকে হত্যা করায় লিপ্ত হতে দেখা যায় এই বিশেষ রহস্যময় চরিত্রটিকে যাকে দেখতে অবিকল আর্যকে। এর পর নতুন গল্পের শুরুতে দেখা যায় অর্জুন নামের চরিত্রে অভিনয় করছেন রেজওয়ান । এই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ি মেকানিকের চরিত্রে অভিনয় করছন। আর্য যেমন অন্ধ ছিলেন অর্জুন আবার একটু অ্যাঙরি ইয়াংম্যানের চরিত্রে অভিনয় করছেন। রেজওয়ান বলেন, একই সিরিয়ালের জন্য তিনটি চরিত্রে অভিনয় করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য আলাদা ভাবে বড় ল্যাঙ্গুয়েজের রপ্ত করতে হয়েছে। আপাতত অর্জুন আর চিকুর মধ্যে খুনসুটি চলছে। তবে গল্পের আগামী পর্ব এ তাঁদের ভালোবাসার রং দেখতে পাবে।
এই সিরিয়াল যখন শুরু হয় গল্পের গতি প্রকৃতি ছিল অন্যরকম ধারাবাহিক নাটকটি চারুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যে এক গ্রামের মেয়ে, যিনি কম বয়সে তার মাকে হারিয়েছিলেন। তার বাবা দ্বিতীয় বিবাহের জন্য যান। চারু একটি খুব শালীন মেয়ে যাকে সর্বদা অন্য গ্রামবাসীদের সহায়তা করে। এই সুন্দর মেয়েটি বাড়ির কাজকর্মেও ভাল। তবে তার সৎ-মা এবং সৎ-বোন চুমকি চারুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে সর্বাত্মকভাবে বাইরে বেরোন। গ্রামবাসী যেমন চারুকে খুব পছন্দ করে, এটি চুমকিকে আরও ঈর্ষা করে তোলে। মাঝামাঝি সময়ে চারু একটি গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে পালিয়ে গিয়ে শহুরের গাড়ির মালিকের সাথে দেখা করতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তারা একে অপরের জন্য পড়ে। সমস্ত গ্রামবাসী এই ভদ্রলোকটির সাথে চারুকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তার সৎ মা এবং সৎ বোন তাদের পরিকল্পনাগুলিতে একটি শর্ত রাখার চেষ্টা করে। চারু যেমন গরিব মা হারানো মেয়ে মিষ্টি বানাতো ভালো করে।ঠিক সেইরকম আর্য অন্ধ কিন্তু স্বনির্ভর সব নিজে করতে পারে আর মল্লিক সুইটসের ফুড টেসটার নিজেও অন্ধ হলেও মিষ্টি বানাতে পারে। মা মল্লিকার সাথে ব্যবসার উন্নতি করে। এর পর নানা পর্যায়ের পর দেখা যায় মল্লিক পরিবার একসঙ্গে হত্যা করা হয়। থেকে যায় শুধু মল্লিকা। মল্লিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন জুন মালিয়া। তাহলে কি ফিরে এসেছেন আর্যমান নাকি এটি আর্যমানের পুনর্জন্ম। এখনই কিছু বলতে চাইছেন না রেজওয়ান । তবে এই নতুন গল্প ও চরিত্রের আগমনে সিরিয়ালের টিআরপি উর্দ্ধমুখি। এই সিরিয়ালের কাজের চাপে এই মুহূর্তে। অন্য কাজের সুযোগ এলেও নিতে পারছেন না অভিনেতা। আপাতত এই সিরিয়ালের কাজ নিয়েই ব্যস্ত তিনি। রেজওয়ান বলেন
অর্জুন চিকুর প্রেমে কাহিনি দর্শকদের পছন্দ হচ্ছে। আর অর্জুনের চরিত্র আর্যমানের থেকে একদম আলাদা। তাই কাজ করেও আনন্দ পাচ্ছেন শেখ রেজওয়ান রব্বানী।