শীতকাল চলে গেলেও এই গরমেও পিছু ছাড়েনি চুলের শুষ্কতা, ফ্রিজি ও জৌলুসহীন ভাব। এদিকে চুলের এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে চাঁদি ফাটা রোদ ও পরিবেশ দূষণ। তাই চুলের হাল ফেরাতে ও চুল প্রাণোচ্ছল করতে তুলতে প্রয়োজন স্মুদিং কন্ডিশনার। এই স্মুদিং কন্ডিশনারে সাধারণত অন্যান্য বাড়তি কন্ডিশনিং এজেন্ট যোগ করা হয় যা প্রাণহীন ও জৌলুসহীন চুলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। যাদের চুল শুষ্ক ও ফ্রিজি তাদের জন্য এই স্মুদিং কন্ডিশনার খুব ভাল কাজ করে। তবে যাদের শুধু ফ্রিজি হেয়ার তারাই নন এমনকি যাদের স্ট্রেট হেয়ার তারাও এই কন্ডিশনার ব্যবহার করে চটজলদি চুল মসৃণ ও স্ট্রেট করে ফেলতে পারেন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে ও চুলে পর্যাপ্ত ময়শ্চারাইজারের জোগান দিতে এই স্মুদিং কন্ডিশনার খুবই ভাল কাজ করে।
কেন এই স্মুদিং কন্ডিশনার এত উপকারী
১. স্মুদিং কন্ডিশনার চুলের গভীর গিয়ে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে।
২. স্মুদিং কন্ডিশনার লাগানোর ফলে জট পাকা চুলও ছেড়ে যায় এর ফলে চুলের ভঙ্গুরতা অনেকটা কমে যাবে। একইসঙ্গে চুল পড়াও কম করে।
৩. স্মুদিং কন্ডিশনার চুলে শক্তি জোগায় ও চুলের ন্যাচারাল কেরাটিন স্ট্রাকচার ভাল করে তোলে।
৪. স্মুদিং কন্ডিশনার রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে ও চুল মসৃণ ও নরম করে তোলে।
স্মুদিং কন্ডিশনার হিসেবে এই সব উপকরণ যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন যেমন-
ম্যাকাডেমিয়া নাটের বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরণের কন্ডিশনার উস্কোখুস্কো চুল নরম করে যাতে চুল সহজে ম্যানেজ করা যায়। প্রাণহীন চুলে একেবারে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়।
প্রচুর পরিমাণে স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে চুল যদি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় সেক্ষেত্রে রাস্ক কেরাটিন কেয়ার স্মুদিং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। কেমিক্যালি ট্রিট করা চুল ও কালার চুলের ক্ষেত্রে এটা হয় বেস্ট স্মুদিং কন্ডিশনার। চুলের হাল ফেরাতে সদ্য কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকলে চুলের ময়শ্চারাইজার আটকে রাখতে এই কন্ডিশনার দারুণ ভাল কাজ করে।
আর্গান অয়েল বা আর্গান বাটার যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এই কন্ডিশনার চুলের জট ছাড়িয়ে চুল নরম ও মসৃণ করে। চুলের জৌলুস বাড়িয়ে তোলেও চুল ফ্রিজ ফ্রি করে।
(ছবি সৌ: indian beauty)